বিলম্বে পৌঁছানোয় প্রতিদিন বহু যাত্রী আটকে পড়ছেন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে বিলম্বে পৌঁছানোর কারণে প্রতিদিনই বিমানে যেতে না পেরে আটকে পড়ছেন।বুধবারও আকাশা এয়ারের গুয়াহাটিগামী বিমানের ছয়জন যাত্রী আটকে পড়েছেন।আকাশার বিকাল তিনটার বিমানের যাত্রী ছিলেন।৪০- ৪৫ মিনিট আগে এসে রিপোর্টিং করেন। ছয়জন আটক যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনই মহিলা। বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবনের ভেতর পৌঁছেও আকাশার নির্ধারিত বিমানে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে আটক মহিলা যাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।পরে আটক যাত্রীরা নতুন মূল্যে টিকিট কেটে ইন্ডিগোর বিমানে গন্তব্যস্থলে গেছেন।শুধু এদিনই নয়, বিমানবন্দর টার্মিনাল ভবনের ভেতর পৌঁছার পরও অনেক যাত্রী আটকে পড়ার ঘটনা প্রতিদিনই হচ্ছে।আটক যাত্রীরা আটকে পড়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার, হইচই, ক্ষোভ বিক্ষোভও দেখান। আটকে পড়া যাত্রীরা বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবনের ভেতর বিমান সংস্থার রিপোর্টিং কাউন্টারের সামনে চিৎকার, হইচই, ক্ষোভ বিক্ষোভ করলেও বিমান সংস্থাগুলি বিলম্বে এসে রিপোর্টিং করার কারণে বিমানে নিতে পারছেন না। বিমান ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা তথা ৬০ মিনিট আগে বিমান সংস্থাগুলি কাউন্টার বন্ধ করে দেয়।বিমান ডিপার্চার বা বিমান ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে যেসব যাত্রী এসে বিমান সংস্থার রিপোর্টিং কাউন্টারে মোবাইলে টিকিট বা কাগজের টিকিট সহ রিপোর্ট করবেন তাদের বিমানে যেতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বিমান ছাড়ার বা বিমান টাইমের যে সময় টিকিটের মধ্যে দেওয়া থাকে সেই সময়ের এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত রিপোর্টিং কাউন্টার চালু থাকে।কিন্তু তারপর রিপোর্টিং কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।আর তখনই সেই বিমানের কোনও যাত্রী এলে নেওয়া হয় না।আটকে পড়ছেন। প্রতিদিন কোনও না কোনও বিমানের অনেক যাত্রী বিলম্বে আসার কারণেই আটকে পড়ছেন।
অথচ বিমান টিকিট যখন নেন যাত্রীরা তখন টিকিটের গায়ে বা টিকিটের মধ্যে উল্লেখ থাকে এক ঘণ্টা (৬০ মিনিট) আগে রিপোর্টিং কাউন্টার বন্ধ করা হবে।তাই যাত্রীরা এর আগে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে এসে বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে হবেই।বিমান ছাড়ার সময়ের ন্যূনতম দেড় ঘণ্টা, দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে রিপোর্টিং কাউন্টারে রিপোর্টিং করতে হয়।কিন্তু প্রতিদিন যেসব যাত্রী বিলম্বে পৌঁছে রিপোর্টিং কাউন্টারে গিয়ে কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আটকে পড়ছেন তারা একটা কথাই শুধু বলেন, রাস্তায় জ্যাম ছিল বা রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে গিয়েছিল ইত্যাদি।এই সব কথা কান্নাকাটি করে বললেও বিমান সংস্থাগুলির কর্মীরা যাত্রীরা বিলম্বে আসার কারণে কোনও কর্ণপাত করছেন না।ফলে আটকে যাওয়া যাত্রীরা হয় পরবর্তী বিমানের জন্য নতুন করে টিকিট নিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।বিলম্বে আসার বিমান না ধরতে পারলেও টিকিটের টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। যাদের কাছে নতুন করে টিকিট কেনার টাকা থাকে তারাই একমাত্র বিমানবন্দর কাউন্টার থেকে নতুন মূল্যে টিকিট নিয়ে পরবর্তী বিমানে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন। অন্য আটক যাত্রীরা টাকার অভাবে টিকিট না কিনতে পেরে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন।ইন্ডিগোর বিমানের বিলম্বিত আটক যাত্রীরা আড়াই হাজার টাকা পেনাল্টি দিলে নতুন টিকিট নিয়ে বিমানে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন।কিন্তু এবার ইন্ডিয়া ও আকাশা এয়ারের বিমানে বিলম্বিত আটক যাত্রীদের জন্য পেনাল্টি দেওয়ার সুযোগ নেই।নতুন মূল্যে টিকিট নিতে হয়।
এদিকে বিমানযাত্রীরা প্রায়দিনই এই অভিযোগও করেন, বিমানবন্দরে পৌঁছার পর টার্মিনাল ভবনের ভেতর প্রবেশের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়।টার্মিনাল ভবনের ভেতর প্রবেশে শুধু একটি মাত্র গেট চালু থাকায় গেটে সিআইএসএফের নিরাপত্তা কর্মীরা টিকিট ও পরিচয়পত্র চেক করে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তাতেও টার্মিনাল ভবনের রিপোর্টিং কাউন্টারে পৌঁছতে গিয়ে বিলম্ব হচ্ছে।দুপুরের দিকে একসঙ্গে অনেক বিমান থাকায় যাত্রীর লাইন পড়ছে প্রতিদিনই টার্মিনাল ভবনের ভেতরে প্রবেশের জন্য। টার্মিনাল ভবনের ভেতর তারপরও প্রবেশে অন্তত দুটি গেট চালু করারও দাবি উঠেছে যাত্রীদের তরফে। কিন্তু এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা স্বল্পতা দেখিয়ে দুটি গেট চালু করছে না বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।