বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীকে করতে পারে আঘাত, খবর দিল নাসা!!
আতঙ্কের খবর শোনাল মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। তেইশ বছর বাদে, ১৪ ফেব্রুয়ারী অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডে-তে বিশালাকার এক গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি গ্রহাণুকে পর্যবেক্ষণ করে এমন আশঙ্কার খবর শুনিয়েছে নাসা। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা একই সঙ্গে আশার কথাও শুনিয়েছেন। অত বিশাল একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম’।অঙ্ক কষে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত করার সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’। ওই গ্রহাণু তথা আকাশ শিলাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৩ ডিডব্লিউ’। নাসা জানিয়েছে, ওই গ্রহাণু আকারে একটি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান। নাসার ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড ফার্নোচিয়া বলেছেন ‘২০৪৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী গ্রহাণুটি সম্ভবত আছড়ে পড়বে, তবে ওই বস্তুটি নিয়ে আমরা এখনও তেমন উদ্বেগের কিছু দেখছি না।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটি সাধারণ ঘটনা যে যখন একটি গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয়, প্রাথমিকভাবে তাকে খুব বিপজ্জন বলে মনে করা হয়। তবে নতুন গ্রহাণুটিকে আরও বিশ্লেষণ করা হলে বিপদে সম্ভাবনা কমে যায়। নাসার ঝুঁকি তালিকায় ১৪৪৮টি গ্রহাণু রয়েছে এবং তা মধ্যে এটা ঘটনা যে ২০২৩ ডিডব্লিউ-র ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এই গ্রহাণু আগামী দুই দশক পরে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এই গ্রহাণুটি লম্বায় ১৬ ফুট। এই গ্রহাণুটি বর্তমানে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৪৭ সাল থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যে আরও ৯টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। এই আকাশ শিলাটি প্রথমবার মহাকাশে দেখা যায় গত ২ ফেব্রুয়ারী। এই গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ২৫ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এবং এখন এটি পৃথিবী থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি প্রতি ২৭১ দিন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রসঙ্গত, নাসা সম্প্রতি সফলভাবে তার ডার্ট মিশন পরীক্ষা করেছে। ওই মিশনের ফলে এখন মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে আসার পথে কোনও একটি গ্রহাণুকে ধ্বংস করার কৌশলও আয়ত্ত করে ফেলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।