বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রুপ সি পদে নিয়োগ পরীক্ষার,উত্তরপত্র সিল, তালাবন্দি তদন্তে পুলিশ: রেজিস্ট্রার!!

 বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রুপ সি পদে নিয়োগ পরীক্ষার,উত্তরপত্র সিল, তালাবন্দি তদন্তে পুলিশ: রেজিস্ট্রার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র সংরক্ষণ কক্ষ তালাবন্ধ করে দিল রাজ্য আরক্ষা দপ্তর।গ্রুপ সি পদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মূলে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ হল। ফলে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন। তবে এখন যতদিন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত চলবে, ওই সময় পর্যন্ত ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ সি পদে নিয়োগের চুড়ান্ত ফলাফল আর প্রকাশিত হচ্ছে না। তাই এক্ষেত্রেও খেসারত প্রদান করবেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী বেকার যুবক যুবতীরা। কবে নাগাদ এই তদন্তের কাজ সমাপ্ত হবে, এ প্রশ্নের উত্তর আরক্ষা দপ্তরের কাছেও নেই।
এদিকে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীপক শর্মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই সত্যটা জানতে পারবেন রাজ্যবাসী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি সহ সকলেই রাজ্যে রয়েছেন।এমনকী রাজ্যপুলিশ প্রশাসনকেও তদন্তে সাহায্য করা হচ্ছে। যদি এই চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ও প্রশাসনিক আধিকারিক বা শিক্ষক কর্মচারী যুক্ত রয়েছেন, বলে প্রমাণিত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ হবে। তিনি উপাচার্য হোক কিংবা রেজিস্ট্রার হোক সকলের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ হবে। তিনি জানান, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ৭ জনকে চাকরি পরীক্ষায় নকলের দায়ে পুলিশের হাতে তোলে দিয়েছে। অবাক করার বিষয় হল তাদের সাথে পরবর্তী পর্যায়ে কি হল? তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এখনও পর্যন্ত জানানো হল না।তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সব ধরনের তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত।ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, শনিবার আমতলি থানার পুলিশ,কন্ট্রোলার ব্রাঞ্চের উত্তরপত্র সংরক্ষণ কক্ষকে ডিসিএমের উপস্থিতিতে সিল করে দিয়েছে।শুধু তাই নয়, একজন ডেপুটি কন্ট্রোলার ও তিনজন আধিকারিক সহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। উল্লেখ্য ‘৩৮’ টি গ্রুপ সি পদের জন্যে গৃহীত লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র গুলিই সিল করা হল।ফলে করণিক,লাইব্রেরি এটেনডেন্ট, ল্যাবরেটরি এটেনডেন্ট, – ল্যাব টেকনিশিয়ান, স্টেনোগ্রাফার, টেকনিক্যাল অ্যাসিটেন্ট, ম্যানেজার, জুনিয়র অ্যাসিসটেন্ট, এটিএস পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধের পথে। পুলিশের তদন্তের পর তা যাবে আদালতে।আর বয়স উত্তীর্ণ বেকারে পরিণত হবেন রাজ্যের যুবক যুবতীরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.