বিশ্বের ৩২ জনের কৃতী তালিকায় নাম সুস্মিতার
অনলাইনপ্রতিনিধি || ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছাত্রী সুস্মিতা সরকার তার স্বপ্নকে স্বপ্নিল পথ ধরে যেন এভারেস্ট স্পর্শ করলেন। নিজের কীর্তিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেলেন সারাদেশে ত্রিপুরার মুখ উজ্জ্বল করলেন। সাব্রুম শহরের ছোট্ট মেয়েটি আজ আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়ে গেছেন। সুস্মিতার সাফল্যে গোটা সাক্ৰমে যেন বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। বিশ্বের মোট ৩২ জন ছাত্র ছাত্রীকে এ বছর স্পিড সায়েন্স ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সারা ভারত থেকে পাঁচজন। ত্রিপুরা থেকে একমাত্র সুস্মিতা সরকার। এই ফেলোশিপের জন্য এক লক্ষ ডলার পাবেন সুস্মিতা। সুস্মিতার পড়াশোনা সাব্রুম শহরে। প্রাথমিক শিক্ষার পাঠদান সাব্রুম মডেল স্কুল। তারপর সাব্রুম বালিকা বিদ্যালয়। এরপর সুস্মিতা চলে আসেন আগরতলা। আগরতলার নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর সুস্মিতা এনআইটিতে ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এম টেক ও পিএইচডি করেন। সুস্মিতার পিতা সুনীল সরকার আজ সন্ধ্যায় দৈনিক সংবাদকে জানিয়েছেন, সুস্মিতা এখন আমেরিকাতে রয়েছেন। ওখানে চাকরি করেন। সুনীলবাবু আরও জানান, এরমধ্যে আমেরিকা গিয়ে মেয়ের সাথে দেখা করে আসেন। মেয়ের সাফল্যে দারুণ খুশি সুনীল বাবু। সুনীলবাবু সাক্রম শহরে এক সময় টেলারিং-এর কাজ করতেন। পরে ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে বরাবরই সিরিয়াস ছিলেন সুনীল সরকার ও তার স্ত্রী স্বপ্না সরকার। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় সাফল্যের সিঁড়ি একে একে টপকাতে টপকাতে একেবারে শীর্ষে সুস্মিতা। সুনীলবাবু জানান, সুস্মিতা যে কলেজে পড়াশোনা করেছেন গতবার ওই কলেজে বেস্ট অব স্টুডেন্ট-এর মর্যাদা পেয়েছেন সুস্মিতা। রাজ্যের মেয়ের এই বিরল সম্মান। সারা পৃথিবীর ৩২ জন কৃতী চালিকায় সুস্মিতা নিজের নাম যুক্ত করলেন। স্পিড সায়েন্স প্রোগ্রাম ফেলোশিপ মান্তর্জাতিক দিক দিয়ে একটি নামকরা ফেলোশিপ।