অনলাইন প্রতিনিধি || বর্তমান বছরের শুরুতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চা বাগিচার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক কমেছে বলে চা শ্রমিক থেকে শুরু করে অফিস কর্মী এবং চা বাগিচা কর্তৃপক্ষ অনেকে জানান।গোটা রাজ্যে সরকারী বেসরকারী (কো অপারেটিভ)সমবায় সমিতি চা বাগিচা মিলে মোট ৫৬টি বৃহৎ চা বাগিচা রয়েছে।এছাড়াও ক্ষুদ্র এবং বহু চা চাষিদের ছোট চা বাগিচা রয়েছে।রাজ্যের চা বাগিচার শ্রমিক কর্মচারী অনেকে অভিযোগ করে বলেন,এপ্রিল ও মে মাসে গোটা রাজ্যে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় খুবই কম হওয়ায় চা বাগিচা সহ সবজিচাষিদের বিবরাটভাবে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে চা বাগিচার প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে চা গাছের সবুজ পাতা উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় মহিলা শ্রমিক যারা চা গাছ থেকে দুটি পাতা সংগ্রহ করে, তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করেও প্রত্যেকদিন হাজিরার নির্ধারিত ৩৫ কেজি চা পাতা সগ্রহ করতে পারছে না। সারা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত চা বাগিচাটি হলো
বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন দুর্গাবাড়ি চা বাগিচা সমবায় সমিতি।উক্ত চা বাগিচায় একশভাগ চা গাছে বাগান কর্তৃপক্ষের নিজ ক্ষমতায় ভালো সেচ ব্যবস্থা রয়েছে। তবুও প্রকৃতির দেওয়া বৃষ্টির জলের অভাবে উক্ত দুর্গাবাড়ি চা বাগিচার উৎপাদন চলতি বছরের শুরুতে কমে গেছে বলে সমবায় সমিতি চা বাগিচার উপদেষ্টা ও সম্পাদক যথাক্রমে গোপাল চক্রবর্তী ও বংশী তাঁতির অভিমত জানা গেছে। শ্রী চক্রবর্তী আরও জানান, সবুজ কাঁচা চা পাতা সংগ্রহকারী মহিলা প্রত্যেকে ( চা বাগিচার নিয়ম অনুসারে) কমপক্ষে প্রতিদিন ৩৫ কেজি সংগ্রহ করলে সরকারী নিয়ম অনুসারে রেশন মানি সহ হাজিরা মোট ২০১ টাকা পেমেন্ট পাবে। কিন্তু বর্তমানে চা বাগিচাগুলিতে সবুজ পাতার উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় ৩৫ কেজি চা পাতা সসংগ্রহ করতে পারছে না। এরপরও সরকারের আইন অনুসারে চা পাতা সংগ্রহকারী মহিলা শ্রমিকদের ২০১ টাকা পেমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। গোটা রাজ্যে চা বাগিচা কর্তৃপক্ষ এতে আর্থিকভাবে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। অন্যদিকে দুর্গাবাড়ি চা বাগিচার সম্পাদক বংশী তাঁতি, বিনোদিনী চা বাগিচার ইনচার্জ বিশ্বনাথ বণিক (কালু) এবং লক্ষ্মীলুঙ্গা-তুফানিয়ালুঙ্গা, সিমনা, হরেন্দ্রনগর, ফটিকছড়া, মোহনপুর চা
বাগিচার একাংশ শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির অভাবে চা গাছে (রেডক্রস পোকা ) লাল মাকড়শার আক্রমণে অধিকাংশ চা গাছের সবুজ পাতার বিরাট ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহার সঙ্গে টেলিফোনে সোমবার যোগাযোগ করে জানা গেছে, প্রচণ্ড খরার ফলে ছোট-বড় সমস্ত চা বাগিচায় উৎপাদন মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত কমে যাওয়ায় চা বাগিচা কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। শ্রী সাহা রাজ্যের বিভিন্ন চা বাগিচাগুলি ঘুরে দ্রুততার সাথে শ্রমিক -মালিকদের বিভিন্ন সমস্যা খতিয়ে দেখছেন বলেও জানা যায় ৷
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…