অনলাইন প্রতিনিধি :-৪৩তম আগরতলা বইমেলা উদ্বোধন ঘিরে হাপানিয়ার মেলা প্রাঙ্গণে দারুণ ব্যস্ততা চলছে।মেলা কমিটির পাশাপাশি স্টলগুলিতে প্রকাশক গোষ্ঠী রাত জেগে সাজগোজের কাজ চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় মেলা মঞ্চে ১৩ দিনের আগরতলা বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর মঞ্চে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের লেখক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়।
মেধা মনন আর সাহিত্য চর্চার এই অঙ্গনে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, দিল্লীর বিভিন্ন প্রকাশক সংস্থা উপস্থিত হচ্ছে। তবে এই মেলার মাঝামাঝি সময়েই যেহেতু কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে তাই কলকাতার প্রকাশক সংখ্যা এ বছর কিছু কম হতে পারে। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবেই আসছে না বাংলাদেশের কোনও প্রকাশক, বই বিক্রেতা সংস্থা।সে দেশে রাজনৈতিক উথালপাথালের কারণে বাংলাদেশের তরফে কলকাতা সহ কোনও বইমেলাতেই অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানায়নি।
বইমেলার মূল ফটকে এবার বৌদ্ধমূর্তির শিল্পচ্ছটা আর মেলার প্রতিটি স্টলে ধ্যান মুদ্রায় ‘সর্বেষাং শান্তির্ভবতু।’ সবার মধ্যে শান্তি বিরাজমান থাকুক এই থিম এই বছর বৌদ্ধিক চর্চার বইমেলায়। তবে সাজসজ্জায় পরিবেশ অবান্ধব থার্মোকলের আতিশয্য আয়োজকদের ভাবনা চিন্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।মেলারআয়োজক তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে মেলা প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত নয়টা অবধি চলবে। বন্ধের দিনে বেলা দুইটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা অবধি চলবে মেলা।
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলির কাছে পাঠাগারের জন্য বই ক্রয় ও জনগণকে বইমেলা সম্পর্কে সচেতন করতে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারের বইমেলাতেও প্রতিদিন বইপ্রকাশ, কবি সম্মেলন, আলোচনাচক্র, কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীগণ ছাড়াও বহি:রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পীরা অংশ নেবেন। হাপানিয়া মেলা প্রাঙ্গণে তেরো দিনব্যাপী বইমেলায় – বইপ্রেমীদের যাতায়াতের জন্য আগরতলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিনামূল্যে বাস পরিষেবার ব্যবস্থা থাকছে এ বছরও।
এবারের বইমেলায় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের ১৫৯টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি স্টল বহি:রাজ্যের প্রকাশক ও বিক্রেতাদের। এবারও বইমেলার সমাপ্তি দিনে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৪টি পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে চিত্র ও স্থাপত্য ক্ষেত্রে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ স্মৃতি পুরস্কার, সাহিত্যে সলিল কৃষ্ণ স্মৃতি পুরস্কার, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য কালীকিংকর দেব্বর্মা স্মৃতি পুরস্কার, ছোট গল্পের জন্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরস্কার, লোকসংস্কৃতির জন্য লালন পুরস্কার, নাটকের জন্য ত্রিপুরেশ মজুমদার স্মৃতি পুরস্কার, বেস্ট লিটন ম্যগাজিন অ্যাওয়ার্ড, বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার জন্য রাধামোহন ঠাকুর পুরস্কার, ককবরক ভাষার শ্রেষ্ঠ প্রকাশনার জন্য দৌলত আহমেদ পুরস্কার, বাংলা ও ককবরক ব্যতীত অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরস্কার, ইয়ং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে, নৃত্যে সত্যরাম রিয়াং অ্যাওয়ার্ড, সঙ্গীতে অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস স্মৃতি পুরস্কার, ভিস্যুয়াল আর্টের জন্য সুমঙ্গল সেন স্মৃতি পুরস্কার, নাটকের জন্য অজিত মজুমদার স্মৃতি পুরস্কার।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ফলাফল প্রকাশ হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।একযোগে রাজ্য পর্ষদের মাধ্যমিক,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সি-প্লেন পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দপ্তর।রাজ্যের সি-প্লেন পরিষেবা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান সরকারের শ্লোগান হচ্ছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। কিন্তু বাস্তবে এই শ্লোগান কতটা…
বাণিজ্য সংকট বলতে আমরা সাধারণত কী বুঝি?অথবা বাণিজ্য সংকট কাকে বলে?খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে,…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদ ৫১ হাজার ৭৮৪টি।নিয়োগ নেই।২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত…
অনলাইন প্রতিনিধি :- অনেক রাতে এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে বিলম্বিত বিমান যাত্রীরা আবারও যানবাহনের অভাবে চরম…