বেআইনি ভাবে মাছ বিক্রি মৎস্য দপ্তরের বিরুদ্ধে!!!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি, অমরপুর।।। অমরপুরের অমরসাগর দীঘি লিজে দেওয়ার সরকারি ভাবে দরপত্র আহ্বান করার পরেও মহকুমার মৎস দপ্তরের তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভুতভাবে মাছ ধরা ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে । যদিও মৎস তত্ত্বাবধায়েক অজয় দাসের বক্তব্য, অমরসাগর দীঘি লিজ দেওয়ার দরপত্র গ্রহণের কাজ সম্পন্ন হলেও, এখনো কাউকে লিজ প্রদান করা হয়নি। আবার এটাও ঠিক দরপত্র বাতিলও করা হয়নি। মৎস তত্ত্বাবধায়কের আরও বক্তব্য, অমরসাগর জলাশয় লিজ দেওয়ার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, জলাশয়ের মাছ নয়! তার এই বক্তব্য ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। কারন, দরপত্রে এমন কোনও শর্ত ছিলোনা। মাছ ছাড়া জলাশয় লিজ প্রদানের দরপত্র আহ্বান করা ভূভারতে কোথাও হয়েছে কিনা জানা নেই। আদতে শাসকদলের একাংশ নেতৃত্বকে খুশি করে মৎস তত্ত্বাবধায়ক একের পর এক অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
বিজয়া দশমীতে আম জনতাকে সরকারি মূল্যে মাছ খাওয়ানোর নামে সেই লিজ দেওয়া জলাশয়ের মাছ ধরে বিক্রি করে দিয়েছে দপ্তর। এই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।
টেন্ডার হয়ে যাওয়া জলাশয়ে গত কয়েকদিন ধরেই অমরপুরের মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক অজয় দাসের নির্দেশে মৎস্য পরিদর্শক অমরসাগর দীঘিতে জেলেদের নামিয়ে মাছ ধরাচ্ছেন। জানাগেছে, শুধুমাত্র সোমবার বিকালেই দীঘি থেকে প্রচুর রুই, কাতল, সিলভার কার্ব,বিগ্রেট, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে মৎস দপ্তরের চন্ডীপাড়াস্থিত নিজস্ব ট্যাঙ্কিতে মজুদ করেন কোন প্রকার মাপঝোঁক ছাড়াই। এই খবর চাউর হতেই মহকুমা সদরে ব্যাপক সমালোচনার ঝর উঠে। টেন্ডার হয়ে যাওয়া জলাশয় থেকে মৎস তত্ত্বাবধায়কের মাছ ধরা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে। কার নির্দেশে এবং কত কেজি কি কি প্রজাতির মাছ ধরা হয়েছে জানতে চাইলে মহকুমা মৎস পরিদর্শক ক্ষুদিরাম রিয়াং বলেন অমরপুরের মৎস তত্ত্বাবধায়ক অজয় দাসের নির্দেশেই তিনি অমরসাগরে জেলে নামিয়ে মাছ ধরিয়েছেন। তবে মাছের সংখ্যা লিখে রাখা হলেও কত কেজি মাছ ধরা হয়েছে তার কোন পরিমাপ করা হয়নি। এই নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।