অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্য
সরকারের ৩০টি পদের জন্যে আবেদন করেছেন ১৪ হাজার বেকার অর্থাৎ ১টি পদের জন্যে প্রার্থী হলেন ৪৬৬ জন।তবে সহজেই অনুমেয় রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে চাকরি নেই। অথচ রাজ্যে আবার প্রত্যেক সপ্তাহে শূন্যপদ সৃষ্টির প্রচারে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অথচ এই প্রচারের সাথে বাস্তবের যে কোনও মিল নেই, তা ১টি পদের জন্যে আবেদনকারী বেকারের সংখ্যার মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে।ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর ইলেকশন ইনস্পেটর ১৬টি এবং রেভিনিউ ইনস্পেটর ১৪টি পদ মিলিয়ে মোট ৩০টি পদের জন্যে প্রায় ১৪ হাজার ৬৭২ জন বেকার আবেদন করেছেন। এই ১৪ হাজার আবেদনকারী বেকারের মধ্যে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বেকারের সাথে হাজারও ইঞ্জিনীয়ার, এমবিএ সহ অন্যান্য কারিগরি কোর্সের বেকার পর্যন্ত রয়েছে।অবাক করার বিষয় হলো, এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পর্যন্ত হয়নি। উল্টো তিনবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। আর যদি এখন সংবাদ প্রকাশের পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দিনক্ষণ ঘোষণাও হয় তবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ, এরপর মেইন পরীক্ষা গ্রহণ ফলাফল প্রকাশ, মৌখিক সাক্ষাৎকার পরীক্ষা সহ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ঘিরে ন্যূনতম তিন বছর পার হয়ে যাবে। এরপর আবার অফার বিলির নামে মহাকরণে অনুষ্ঠানের আড়ালে আরও ছয় মাস গায়েব হবে। এভাবেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ করতে সাড়ে ৫ বছর চলে যাবে। ফলে যেসব বেকার ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে আবেদনকারী প্রার্থী ছিলেন।তারা সহ অন্যান্য বেকার যারা চাকরি পাবেন তাদের সকলের চাকরি জীবন থেকে প্রায় ছয় বছর গায়েব হয়ে যাবে। ফলে তারা চাকরি জীবনে আর্থিকভাবে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অবসরেও নানা আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। আর এরমধ্যে যদি আদালতে মামলা হয়, তবে এর পরিণাম আরও শোচনীয় হবে। এভাবেই বেকার ঠকাচ্ছে টিপিএসসির আড়ালে সরকার।
অভিযোগ, সরকারের প্রত্যেক সপ্তাহের শূন্যপদ সৃষ্টি ফানুস গত ৫ বছর ধরে টিপিএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ফুটো হয়ে গিয়েছে। টিআরবিটি আয়োজিত টেট-১, টেট- ২, এসটি-জিটি, এসটি-পিজিটি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের বেকার। আর সর্বশেষ জেআরবিটি গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের মাধ্যমেও তাই প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ গ্রুপ-সি নিয়োগের মাধ্যমে চাকরি গেছে বহিঃরাজ্যে।এখন সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রচার হলো, গ্রুপ-ডি পদে অফার ছাড়া হবে।এক্ষেত্রে রাজ্যে সরকারের ব্যর্থতার জন্যে বেকারের চাকরি
জীবন থেকে ৫ বছর গায়েব হবে।
এমনকী সম্প্রতি মহাকরণে বসে প্রচার হলো প্রায় ২০০টি শূন্য পদে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে ইঞ্জিনীয়ার নিয়োগ হবে। যদিও এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপনের দেখা নেই। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অন্তিমবার আরডি দপ্তরে ইঞ্জিনীয়ার নিয়োগ হয়েছিল। টিপিএসসি সূত্রে খবর, গত দুই বছরে প্রায় ৮ বার মহাকরণে ইলেকশন ইনস্পেটর এবং রেভিনিউ ইনস্পেটর পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহ অন্যান্য শূন্যপদ সংযুক্ত করে শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। অভিযোগ, এই চিঠির জবাব দেয়নি মহাকরণ।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…