বেসরকারি প্যাথলজিতে অভিযান
দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে গুণমান সম্পন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় কিনা, মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা এবং সর্বোপরি যারা এসব প্যথোলজিক্যাল পরিষেবা নিতে আসছেন তাদের ঠকানো হচ্ছে কিনা? এসব বিষয়ে দক্ষিণ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর নড়াচড়ে বসেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার দক্ষিণ জেলা সদর বিলোনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় আচমকা বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি গুলিতে হানা দেয়। সরোজমীনে পর্যবেক্ষণের সময় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়েছে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি গুলিতে।
অনিয়ম ধরা পড়া ল্যাবরেটরি মালিক কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া ছাড়াও আগামী এক সপ্তার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে অনিয়ম সংশোধন করা না হলে পরবর্তী পর্যায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছে একের পর এক বিভিন্ন অভিযোগ জমা হতে থাকে। বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরি গুলিতে রক্ত,মল, মূত্র, কফ পরীক্ষা করা, এক্সরে, ইসিজি করা ইত্যাদি নিয়ে চিকিৎসা প্রার্থীদের ব্যাপকভাবে ঠকানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই দিনে প্রায় একই সময়ে দুই প্যাথলজিতে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দুই রকম আসছে।
অন্যদিকে, এক্সরে ও ইসিজির ক্ষেত্রে অত্যধিক অর্থ নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্যাথলজিতে চিকিৎসক বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসার নামে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই হাজার,তিন হাজার, চার হাজার টাকার বিভিন্ন পরীক্ষা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্যাথলজিতে করার জন্য। সব ক্ষেত্রেই কমিশন বাণিজ্য। এসব অভিযোগ প্যাথলজির গুলির বিরুদ্ধে উঠতে থাকায় শেষ পর্যন্ত সরব হয়েছে দক্ষিণ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
শনিবার বিভিন্ন প্যাথলজি গুলি সরোজমিনে পর্যবেক্ষণের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ মেডিসিন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ঠিকভাবে না থাকা, রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়েছে। এদিন অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার জগদীশ নমঃ সহ ডি এম ও ডাক্তার সুব্রত দাস, ডি টি ও ডাক্তার অরূপ দত্ত,ইউ এ ও ডাক্তার মৃত্যুঞ্জয় বণিক, জেলা ড্রাগ ইন্সপেক্টর , আদিত্য চাকমা ও প্রজেকশনিস্ট সুভাষ চৌধুরী।