সংবাদে প্রকাশ,রাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বেহাল দশা চলছে।অর্থাৎ রাজ্যের কলেজগুলির বেহাল দশা। পড়াশোনা লাটে।শিক্ষক শিক্ষিকা সহ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই।অন্যদিকে নতুন নিয়োগ নেই,ইউজিসি গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বলা যায়, কলেজগুলির দফারফা অবস্থা।ছাত্রছাত্রীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায়।তারা উদ্বিগ্ন।সরকার এদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না। তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।বর্তমানে রাজ্যে সাধারণ ডিগ্রি কলেজ রয়েছে ২৫ টি।কিন্তু এই ডিগ্রী কলেজগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকার প্রচণ্ড সংকট চলছে।ইউজিসির গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা থাকার কথা ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে ২৫:১। কিন্তু এর চার ভাগের একভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা, নেই রাজ্যের কলেজগুলিতে। এক অভাবনীয় অব্যবস্থা চলছে উচ্চশিক্ষার এই দিকটিতে।
পরিকাঠামোহীনভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার ফলে কলেজগুলিতে পড়াশোনা হয় না বললেই চলে।বিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস হওয়া দরকার।কিন্তু তা হচ্ছে না।ফলে কিছুদিন আগে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে রাজ্যের কলেজগুলিতে।প্রায় ৯ হাজার ফেল ছাত্রছাত্রীকে কৃতকার্য করে দেওয়া হয়েছে।এখন কলেজগুলিতে সেমিস্টার প্রথা।একদিকে কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ নেই। প্রয়োজনীয় অধ্যাপক অধ্যাপিকা নেই,এমনকী নেই গেস্ট লেকচারারও।ফলে এক অব্যবস্থার চিত্র সর্বত্র। এর আগে রাজ্যের ২৩টি মহকুমায় ২২টি ডিগ্রি কলেজ ছিলো।২০২৩ সালে আরও তিনটি কলেজ চালু করা হয়। যে নয়া কলেজগুলি চালু হয়েছে তাও চলছে ঘুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।রাজধানীর কলেজগুলিতেও শিক্ষক সংকটে অনার্স কোর্সের পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। পাস কোর্সের পঠনপাঠনও একই কায়দায় চলছে। মফস্সল শহরের কলেজগুলির অবস্থা তো আরও শোচনীয়।যে ক’জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন তারা আসছেন যাচ্ছেন,আর ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা তথৈবচ।
ইউনিভাসিটি গ্র্যান্টস্ কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম হচ্ছে কলেজগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত থাকতে হবে ২৫:১।কিন্তু রাজ্যে কলেজ শিক্ষক শিক্ষক এর চার ভাগের এক ভাগও রয়েছেন কিনা সন্দেহ।
খবরে প্রকাশ,গত সাত বছরে রাজ্যের কলেজগুলিতে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ৯১।বহু উচ্চশিক্ষা ডিগ্রিধারী বেকাররা নেট,স্লেট উত্তীর্ণ হয়ে বসে আছেন চাকরির আশায়।কিন্তু নিয়োগ নেই। বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ তো প্রায় নেই-ই, আবার যা কিছুবা হচ্ছে তাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে হতে তিন-চার বছর লেগে যাচ্ছে।অর্থাৎ একজন বেকার যুবক যুবতীর চাকরিজীবন থেকে জীবনের তিন-চার বছর অমূল্য সময় চলে যাচ্ছে।ত্রিপুরা লোকসেবা আয়োগের মাধ্যমে নিয়োগে এখন অদ্ভুত নিয়ম চালু হয়েছে এবং তা হলো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে।আবার মাঝখানে যদি আদালত এসে যায় তাহলে তো আর কথাই নেই।আরও সময় কর্তন।
সংবাদে আরও প্রকাশ পেয়েছে, কলেজগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি দিনদিন বাড়লেও নিয়োগ হচ্ছে নামাকাওয়াস্তে।গত ৭ বছরে বিজেপি সরকারের জমানায় রাজ্যের কলেজগুলিতে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ৯১।এর থেকেই প্রমানিত কী রকম ভয়াবহ অবস্থা চলছে রাজ্যের কলেজগুলিতে। শিক্ষক নেই।পঠন পাঠন নেই।ছাত্রছাত্রীরা কেস করছে।কোন দিকে যাচ্ছে রাজ্যের ভবিষ্যৎ।কোন পথে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলছে রাজ্য রকার।জবাব তো রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারার মর্যাদা ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। ন্যাশনাল…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কালী পুজো আসছে,বছর কয়েক আগে পর্যন্ত তা টের পাওয়া যেত লক্ষ্মী পুজোর পর…
বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড হয়েছিল সেই ২০০০ সালে। তখন কেন্দ্রে বিজেপি সরকার।অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী।এর সঙ্গে আরও…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের মার্কিন মসনদের দখল নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 'বুধবার ফ্লরিডার পাম বিচে বিজয়ী ভাষণে'…
প্রশ্ন বিবিধ।অথচ উত্তর অজানা।কারণ, উত্তরদাতা মৌন।রাজনীতির আঙিনায় 'মৌন' শব্দটি শুনলে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী…