বেহাল ট্রাফিক ব্যবস্থা স্মার্ট সিটিতে,যানজটে নিত্য দুর্ভোগে জনগণ।

 বেহাল ট্রাফিক ব্যবস্থা স্মার্ট সিটিতে,যানজটে নিত্য দুর্ভোগে জনগণ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- স্মার্ট শহর রাজধানী আগরতলায় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়েছে।নিত্যদিন সাধারণ মানুষ এর শিকার হচ্ছেন। দেখার কেউ নেই । ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ব্যবস্থার উপর গোটা ব্যবস্থা ছেড়ে রাখা হয়েছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের দেখা নেই। ট্রাফিক পুলিশ রাজধানীতে রয়েছে কি না তা বোঝাই দুষ্কর। অফিস টাইমে ট্রাফিকের এই বেহাল দশা আরও বেআব্রু হয়ে পড়ছে। দিনের বেলা এই হাল চলছে। আর রাতের বেলায় হচ্ছে আরেক অবস্থা। মূল শহর বাদ দিলে রাতের স্মার্ট সিটিতে রাস্তায় প্রচণ্ড আলোর অভাব। অন্যদিকে গাড়িঘোড়ার যে লাইট তা আইন মানছে না। ফলে রাতের আঁধারে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। উপরন্তু রয়েছে পার্কিংয়ের বেহাল চিত্র। আগরতলার প্রধান সড়কগুলিই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্কিং স্পট। ফলে পথচারী থেকে সাধারণ যানচালক প্রত্যেকেরই নিত্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। দিনের বেলায় সবচেয়ে বেহাল দশায় সাধারণ নিত্য যাত্রীকে পড়তে হচ্ছে পুরাতন মোটরস্ট্যাণ্ড এলাকায়।এখানে অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স হচ্ছে বলে নির্মাণ কাজ চলছে। ফলে এখন গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা মূল রাস্তা।চন্দ্রপুরগামী রাস্তা গোটা দখল থাকে অটো, টমটমওয়ালাদের। ফলে মানুষের যেমন হাঁটার জো নেই তেমনি গাড়িঘোড়া চলার অবস্থাও তথৈবচ।এটা চলতে থাকে একেবারে মঠ চৌমুহনী পর্যন্ত।একই অবস্থা চন্দ্রপুরে। নাগেরজলা,বটতলারও একই অবস্থা। আগরতলা এখন বলা যায় টমটম, অটোর দৌরাত্মে ভরপুর। যে যেখানে পারছে দাঁড়াচ্ছে, যাত্রী উঠানামা করাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। ড্রপগেটের মোড়ে নিত্যদিন জ্যাম লেগে থাকে। উল্টোদিকে পুলিশ লাইন। অথচ এখানে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে কালেভদ্রে। গোলবাজারের অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই যুগ যুগ ধরে। রাজধানীর মূল সড়কগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা চলছে ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ব্যবস্থার মাধ্যমে। ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চলছে পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিকভাবে রাজধানীতে। দেড় মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখে ছাড়া হয় ৩০ সেকেণ্ড। এই হলো ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। মহাকরণের সামনে সিগন্যাল ব্যবস্থা একই সাথে চলছে লাল এবং সবুজ লাইট জ্বালিয়ে। ট্রাফিক পুলিশ গেল কোথায় রাজধানীতে ? সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এখন এটাই। রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে কর্নেল চৌমুহনী থেকে শংকর চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তা। কিন্তু এই রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ নেই। এই সড়কেই রয়েছে শাসকদলের সদর দপ্তর। প্রায়শই এই রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকে। কিন্তু কোনও ট্রাফিক পুলিশ নেই যান নিয়ন্ত্রণে।অর্থাৎ সর্বত্রই রাজধানীকে ছেড়ে রাখা হয়েছে।‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’ হিসাবে চলছে যানচালকরা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.