অনলাইন প্রতিনিধি :-শুধু ভারতবর্ষই নয়, গোটা পৃথিবীব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান দুটি উপাদান গ্যাস এবং কয়লার মজুত ভাণ্ডার ক্রমশ শেষ হওয়ার পথে।এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে গোটা বিশ্বের নজর এখন গ্রিন এনার্জির উপর।একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা, অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব শক্তির জোগান।এই দুই প্রধান লক্ষ্যকে সামনে রেখে সূর্যের আলোকে পাথেয় করে গোটা পৃথিবী এবার শক্তি জোগানের পথে এগোচ্ছে। এই বিরাট উদ্যোগে শামিল ভারতও।আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ৫০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে সফল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে সংকল্পপত্রে স্বাক্ষর করেছে। এই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে গুজরাটের গ্লোবাল রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টর্স মিট অ্যান্ড এক্সপো।পুনর্নবীকরণ শক্তি সংক্রান্ত এই বৈশ্বিক সমারোহ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এই সমারোহে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।অংশ নিয়েছেন দেশ- বিদেশের বিনিয়োগকারীরাও। ত্রিপুরা থেকে সমারোহে অংশ নিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
বৈশ্বিক সমারোহে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথের স্বাক্ষরিত সংকল্পপত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যে ৩৯৬ মেগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এছাড়াও হাইড্রো পাম্প স্টোরেজের মাধ্যমে ৪০০ মেগাওয়াট,হাইড্রো-তে ১৫ মেগাওয়াট এবং বায়োএনার্জিতে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।এই প্রকল্প রূপায়ণে তেরো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।ইতিমধ্যে উত্তরপূর্বের ছোট রাজ্য ত্রিপুরা সৌরশক্তি উৎপাদনে এবং ব্যবস্থাপনায় গোটা দেশেই উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে।যার স্বীকৃতিও পেয়েছে ত্রিপুরা।এবার বৈশ্বিক সমারোহে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে তৃতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ত্রিপুরা।গত সোমবার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ সেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এই বৈশ্বিক সমারোহে হাজির পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশের প্রতিনিধি এবং বিনিয়োগকারীদের ত্রিপুরায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী শ্রী নাথ।সমারোহে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন,ত্রিপুরায় শিল্প বান্ধব সরকারের পাশাপাশি অত্যন্ত বলিষ্ঠ শিল্পনীতি রয়েছে। রয়েছে জমির সহজলভ্যতা, বিনিয়োগের পরিবেশ এবং শক্তিক্ষেত্রে শিল্প বিনিয়োগের সর্বসুবিধা।তিনি বলেন, ত্রিপুরা ইতিমধ্যে ‘ত্রিপুরা অ্যানার্জি ভিশন ২০৩০’ প্রস্তুত করে নিয়েছে।আগামী কিছুদিনের মধ্যে ‘ত্রিপুরা রিনিউয়েবল এনার্জি পলিসিও’ প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎক্ষেত্রে ত্রিপুরা এক নতুন ইতিহাস তৈরির পথে।আমেদাবাদে আয়োজিত চতুর্থ গ্লোবাল রিনিউবল অ্যানার্জি ইনভেস্টার্স মিট অ্যান্ড এক্সপো-তে ট্রেডা অর্থাৎ ‘ত্রিপুরা রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছে পুনর্নবীকরণ শক্তিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্য অর্জনের জন্য।এই বৈশ্বিক সমারোহে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথের সাথে উপস্থিত ছিলেন ট্রেডার মহাপরিচালক মহানন্দ দেববর্মা এবং যুগ্ম অধিকর্তা দেবব্রত শুক্লদাস।
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবায় ধারাবাহিক বিঘ্ন ঘটায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। ঘনঘন…
পাকিস্তানের সহিত যুদ্ধ বিরতি লইয়া ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে এই সময়ে তোলপাড় চলিতেছে।যদিও একাংশ সংবাদ মাধ্যম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিতে রোগীর যন্ত্রণার শেষ নেই।হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়েও রোগীকে প্রচণ্ড…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভুল করে’ সীমান্ত পার করে পাক সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতের বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আদর্শে পরিচালিত শ্রীমতী ব্রহ্মদেবী সরস্বতী বালিকা বিদ্যামন্দির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৈঠকে বসছে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সকাল ১১টায় বৈঠকে…