প্রশ্নের মুখে বৈধ সীমান্ত বাণিজ্য, আমদানির তুলনায় রপ্তানি নামমাত্র, পরিস্থিতি চিন্তাজনক!!
ব্যস্ততম কিছু স্থানে ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল মানুষ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানী আগরতলায় বিভিন্ন রাস্তায় নিত্য ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল মানুষ। স্কুল, কলেজ ও অফিস টাইমে ও ছুটির টাইমে কিছু নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দিনের পর দিন ট্রাফিক জ্যাম এতোটাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে সেসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাতায়াত স্তব্ধ হয়ে পড়ছে। ট্রাফিক জ্যাম এতোটাই তীব্র হয়ে পড়ছে যে সেই রাস্তা ধরে সামান্য দূরত্বে যেতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তাতে রাস্তায় যানবাহন নিয়ে ট্রাফিক জ্যামে পড়ে মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। জ্যামে পড়ে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যাওয়া ও গন্তব্যস্থলে সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় মানুষকে প্রচণ্ড অস্বস্তি ও বিরাট ক্ষতির মুখেও পড়তে হচ্ছে। বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নিত্য ট্রাফিক জ্যামে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে তা পুলিশ-প্রশাসন- ট্রাফিকের সবস্তরের ছোট বড় কর্তৃপক্ষ স্বচোখে দেখলেও তার কোনও নিরসন করছেন না। পুলিশ-প্রশাসন-ট্রাফিকের নিষ্ক্রিয়তায় যেমন নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নিত্য ট্রাফিক জ্যামে মানুষের চরম নাজেহাল দশা তেমনি রাজ্য সরকার, আগরতলা পুর নিগম এবং স্মার্ট সিটিও সমভাবে দায়ী বলে ক্ষুব্ধ মানুষের অভিযোগ। কারণ সংকোচিত রাস্তাও চড়া করা হচ্ছে না। কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে মাসের পর মাস, দিনের পর দিন রাজধানী আগরতলায় নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এই নিত্য ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করবে কে? ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করা নিয়ে ক’দিন পরপর প্রশাসন, ট্রাফিক বিভাগ, পুর নিগম, থানা পুলিশ একত্র হয়ে ঘটা করে বৈঠকের পর বৈঠক করলেও বাস্তবে তার কোনও সুফল নেই। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত রাখতে সরকারী বিভাগগুলি পুরো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে বলে পথচলতি ক্ষুব্ধ মানুষের অভিযোগ। নিত্য তীব্র ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে রাধানগর মোটরস্ট্যান্ডের সামনে থেকে শুরু করে সার্কিট হাউস পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়ও। বুধবারও বেলা ১০টা থেকে বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এই রাস্তায় তীব্র ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের জন্য যানবাহন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া প্রচণ্ড দুষ্কর হয়ে উঠে। অবাক করার বিষয় হলো গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে একাকার হয়ে থাকলেও কোনও ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশকে কেউ ি দেখতে পাননি জ্যাম মুক্ত করার জন্য রাস্তায় থাকতে। ফলে জ্যাম তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে। অথচ রাধানগর সার্কিট হাউস রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় জিবি হাসপাতালে। বুধবার জ্যাম যখন তীব্র হয়ে পড়ে তখন জিবি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তত ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সও রোগী সহ আটকে পড়ে। কিছুতেই অ্যাম্বুলেন্সগুলি এগোতে পারছিল না। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর মুমূর্ষু রোগী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। এক অমানবিক দৃশ্য। নিত্যদিনই ই রাস্তায় একই দশা হচ্ছে। এই রাস্তা ধরেই এমবিবি আগরতলা বিমান বন্দরে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের জন্য বহু বিমানযাত্রী যানবাহনে আটকে পড়েন। নিত্যদিনই এই অবস্থা হচ্ছে এই রাস্তায়। যাত্রীরা বিমানবন্দরে সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। এই রাস্তা ধরেই গোর্খাবস্তি অফিস কমপ্লেক্স ও মহাকরণে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কর্মচারী ও সাধারণ মানুষকেও। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরও নিত্য জ্যামে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। । স্কুল-কলেজের বাসও জ্যামে আটকে পড়ছে। রাধানগর-সার্কিট হাউস পর্যন্ত রাস্তার – দুদিকে দ্রুত চওড়া করে সম্প্রসারণ না করা হলে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা দিন দিন আরও তীব্র হয়ে উঠবে। রাজ্য সরকার ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করার জন্য অনেক বিলম্বে হলেও একটি পরিকল্পনা নিয়েছে যে আইজিএম চৌমুহনী থেকে রাধানগর মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত উড়াল পুল নির্মাণের। কিন্তু এই রাস্তায় যদি সত্যিই ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করার জন্য সরকার উদ্যোগই নেয় তাহলে উড়াল পুলটিকে রাধানগর পর্যন্ত এনে শেষ না করে সার্কিট হাউস পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। তাতে জিবি হাসপাতালের দিকে যাতায়াতে যানবাহনের যেমন সুবিধা হবে তেমনি বিমানবন্দর, গোর্খাবস্তি অফিস কমপ্লেক্স, মহাকরণে যাতায়াতেও সুবিধা হবে। এদিকে নিত্য প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে বিদুরকর্তা চৌমুহনী থেকে কর্নেল চৌমুহনী হয়ে উত্তর গেটে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়ও। হাপানিয়া থেকে ওএনজিসির সামনে দিয়ে ড্রপ গেট পর্যন্ত রাস্তায়ও নিত্য ট্রাফিক জ্যামে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। খয়েরপুর থেকে রাণীরবাজার পর্যন্ত রাস্তায়ও নিত্য ট্রাফিক জ্যামে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হল সেসব রাস্তায়ও ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত রাখার জন্য রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশকে দেখা যায় না বলেও অভিযোগ।