ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার কামড়ে বিদায় ডেঙ্গু, আশায় বিজ্ঞানীরা।।

 ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার কামড়ে বিদায় ডেঙ্গু, আশায় বিজ্ঞানীরা।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

কথায় বলে, বিষেই বিষক্ষয়।সেই তত্ত্বেই পৃথিবী থেকে ডেঙ্গু রোগ বিতারণের স্বপ্ন দেখছেন
বিজ্ঞানীরা।হ্যাঁ,ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার কামড়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তির আশা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর আক্রান্ত হয় প্রায় দশ কোটি মানুষ।এই রোগে বছরে মারা যায় প্রায় ২২ হাজার মানুষ। এখনও এই রোগের কোনও প্রতিষেধক নেই।তবে এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।আর এক্ষেত্রে হাতিয়ার হয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা।কলম্বিয়ার আবুরা উপত্যকার তিনটি শহরের ডেঙ্গু সংক্রমণ ৯৭ শতাংশ কমার পিছনে উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের গবেষকরা অক্টোবরের শেষে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এই সংস্থাটির কাজ ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস বা ইয়েলো ফিভারের মতো মশাবাহিত রোগ ঠেকানো। কীভাবে ডেঙ্গু ঠেকায় এই ব্যাক্টেরিয়া? গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস ইজিপ্টাই মশার রোগ ছড়ানোর ক্ষমতাকে কমাতে পারে উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়া।এডিস বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক রোগবাহী মশা।২০১৫ সালে ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশাগুলিকে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কলম্বিয়ার বেলো শহরে ছাড়া হয়।এরপর ক্রমান্বয়ে মেডেয়িন ও ইটাগুয়া শহরেও ছড়ানো হয় এই মশা।তার আগেও ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা ছড়ানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যান্য কিছু অঞ্চলে। তবে এত বড় আকারে এটাই প্রথম। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে এই গবেষণা থেকে জানা যায় যে, বেলো ও ইটাগুয়ার প্রায় ৮০ শতাংশ মশা উয়োলবাখিয়াযুক্ত মশাদের থেকে সংক্রমিত হচ্ছে। মেডেয়িন শহরে এই হার ছিল ৬০ শতাংশ।এই সংক্রমণ ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে তা জানতে গবেষকরা ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত স্থানীয় ডেঙ্গু সংক্রমণের হারের তথ্য খতিয়ে দেখেন।এই পরীক্ষা চালানোর শুরুর সময়, অর্থাৎ দশ বছর আগের ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা থেকে পরীক্ষা চালানোর পর সংক্রমণের হার ৯৭ শতাংশ হ্রাস পায়। মেডেয়িনে একটি নির্দিষ্ট কেসভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা করা হয়। সেখানেও ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার সঙ্গে ডেঙ্গু কমতে দেখা গেছে। কমার হার ছিল ৪৭ শতাংশ।এর আগে ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগিয়াকার্তাতে এই ধরনের পরীক্ষার পর ডেঙ্গু সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দেখা যায়। ব্রাজিলে এই হার ছিল ৩৮ শতাংশ। যদিও এর পাল্টা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের প্রস্তাবিত সমাধান ভাল উপায় হলেও দীর্ঘমেয়াদে কাজ নাও করতে পারে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.