ব্রহ্মাণ্ডের উজ্জ্বলতম বস্তু আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-মহাবিশ্ব
তথা ব্রহ্মাণ্ডের উজ্জ্বলতম বস্তুর সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।এটি মূলত কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাকহোল) শক্তিচালিত একটি ‘কোয়েসার’।এটি অত্যন্ত দূরবর্তী একটি মহাজাগতিক বস্তু যা বিপুল পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে চলেছে।অসীম তেজদীপ্ত সূর্যও এই কোয়েসারের কাছে কার্যত নস্যি,দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মহাবিশ্বের অনেক দূরে অবস্থিত এই কোয়েসার খালি চোখে দেখা যায় না। তবে ঘটনা হল,এটি সূর্যের আলোর চেয়ে ৫০০ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন সমান ১ লক্ষ কোটি) গুণ বেশি উজ্জ্বল।দূরবীক্ষণ যন্ত্রে এই ‘কোয়েসার’ দেখতে নক্ষত্রের মতো হলেও এটি থেকে বিপুল পরিমাণ রেডিও তরঙ্গের বিকিরণ হয়ে চলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন,তাদের সন্ধান পাওয়া কোয়েসারটিকে যে কৃষ্ণগহ্বর চালিত করে, সেটি প্রতি দিন একটু একটু করে সূর্যকে গ্রাস করে চলেছে।এর আগে এমন দ্রুত বর্ধনশীল কৃষ্ণগহ্বর পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা।কোয়েসারটির প্রথম খোঁজ পান অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।তারা
জানান,এটি সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি গুণ বেশি ভরসম্পন্ন।কথা হল,এই কোয়েসার পৃথিবী থেকে কত দূরে?সূর্যের আলোর চেয়ে ৫০০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি
উজ্জ্বল হলেও সেই ভয়াবহ আলো কেন পৃথিবীর বুকে এসে পৌঁছয় না?বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,ওই কোয়েসার থেকে যে আলো নির্গত হয়,তা পৃথিবীতে পৌঁছতে ১ হাজার
২০০ কোটি বছরের বেশি সময় লাগে!কারণ,এটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ১২০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। প্রসঙ্গত,১ আলোকবর্ষ সমান ৫.৮ ট্রিলিয়ন মাইল।অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) বিজ্ঞানীরা তাদের ২.৩ মিটার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে প্রথম এই কোয়েসারের সন্ধান পান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির সাইডিং স্প্রিং অবজারভেটরি পর্যবেক্ষণাগার থেকে এই টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। পরে তারা ইউরোপিয়ান
সাদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) ‘ভেরি লার্জ’ টেলিস্কোপের সাহায্যে কোয়েসারটির বিষয়ে নিশ্চিত হন।এএনইউ, ইএসওর বিজ্ঞানীদের গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ বিজ্ঞান সাময়িকীকে।এএনইউ-এর সহযোগী অধ্যাপক তথা গবেষণার প্রধান লেখক ক্রিশ্চিয়ান উলফ বলেছেন, ‘এই কোয়েসারের (তথা নক্ষত্র) উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির হার এক কথায় অবিশ্বাস্য।সেখান থেকে অনবরত আলো ও তাপ নির্গত হয়ে চলেছে।
সুতরাং এটাই মহাবিশ্বের সবচেয়ে আলোকিত বস্তু। এটি সূর্যের চেয়ে ৫০০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি উজ্জ্বল।’ তিনি বলেছেন,কৃষ্ণগহ্বর হল স্পেসটাইমের এমন একটি অঞ্চল এবং সেখানে মাধ্যাকর্ষণ এতটাই শক্তিশালী যে আলো সহ কিছুই তা এড়াতে পারে না।