দিল্লীতে আরও একটি ত্রিপুরা ভবন স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়ে শুক্রবার দিল্লীর উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনার সাথে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে আরও জানানো হয়েছে উপরাজ্যপালের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দিল্লীতে হতে যাচ্ছে রাজ্যবাসীর জন্য আরও একটি ত্রিপুরা ভবন। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নতুন ত্রিপুরা ভবনের জন্য দিল্লীর প্রাণকেন্দ্র দ্বারকাতে একটি প্লট কার্যত বুক করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই প্লটের পার্শ্ববর্তী আরেকটি প্লটও নিতে চাইছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার এ নিয়েও উপরাজ্যপালের সাথে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নয়াদিল্লীতে দুটি ত্রিপুরা ভবন রয়েছে। ওইসব ভবনগুলির পরিসর খুবই ছোট। অর্থাৎ রুমের সংখ্যা খুবই কম। রাজ্যবাসীর চাহিদা সামাল দিতে পারছে না দুই ত্রিপুরা ভবন।সরকারী কাজকর্ম থেকে শুরু করে, নানা কাজেই রাজ্যবাসীকে দিল্লীতে যেতে হয়। অনেকেই নিতান্ত জরুরি প্রয়োজনে ঘর চেয়েও ঘর পাচ্ছে না দুই ত্রিপুরা ভবনে। ক্রমবর্ধমান এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার নয়াদিল্লীতে বড়সড় পরিসরে আরও একটি ত্রিপুরা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।দ্বারকাতে যে জমিটি চিহ্নিত করা হয়েছে,সেটি দিল্লী বিমানবন্দরের কাছেই। ওই জমির পাশেই রয়েছে সেক্টর ১৭ মেট্রো স্টেশন। যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ওই জায়গাটি সবদিক দিয়ে সুবিধাজনক। প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে ত্রিপুরা ভবন গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার।প্রকাশিত এই খবর নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।বরং বলা যেতে পারে রাজ্যবাসীর জন্য এই খবর অত্যন্ত সুখকর। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অন্য জায়গায়। রাজ্য সরকারের সব উদ্যোগ এবং ঘোষণাই কি বাস্তবে রূপায়িত হচ্ছে? মূল প্রশ্নটা এখানে। নানা ইতিহাস এবং তথ্য বলে, সরকারের সব ঘোষণা বাস্তবে রূপায়িত হয় না। ঘোষণা শুধু ঘোষণাই থেকে যায়। বাস্তবের মুখ দেখে না। ঘোষণা শুনে রাজ্যবাসী ক’দিন হাততালি দেবে, সরকারকে বাহবা দেবে, প্রশংসার বন্যা বইবে। এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যবাসীও ভুলে যাবে। সেসাথে সরকারের ঘোষণাও ফাইলবন্দি হয়ে কোথায় হারিয়ে যাবে, তার কোনও হদিশ পাওয়া যাবে না। কেন এই কথাগুলি বললাম ? শুধু একটি উদাহরণ তুলে ধরলে বিষয়টি আশা করি স্পষ্ট হবে। ২০১৮ সালে রাজ্যের প্রথম বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের সময়, বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বিধানসভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। প্রস্তাবটি ছিল রাজ্যের ক্যান্সার রোগীদের স্বার্থে মুম্বাইতে একটি ত্রিপুরা ভবন নির্মাণের জন্য। সেই প্রস্তাব বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে পাস হয়। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার বাজেটে মুম্বাইতে ত্রিপুরা ভবন নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে অর্থ বরাদ্দ করে। আজ তিন থেকে সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে। মুম্বাইতে ত্রিপুরা ভবন নির্মাণের কোনও সাড়াশব্দ নেই। রাজ্য সরকারের মুখেও এ ব্যাপারে একটি টু শব্দও নেই।এটা একটা উদাহরণমাত্র।পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও এমন বহু ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।গত সাড়ে পাঁচ বছরেও বর্তমান সরকার এমন অনেক ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেক ঘোষণার কথা সরকারও ভুলে গেছে হয়ত।আমরা চাই একটা কেন,প্রয়োজনে তিনটা হোক। ঘোষণা যেন শুধু ঘোষণা না হয়ে থাকে। ঘোষণা যেন বাস্তবে রূপ পায়।রাজ্যবাসীও মনেপ্রাণে এটাই চায়।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…