ভয়ঙ্কর তুষারপাতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে শনি গ্রহ!!

 ভয়ঙ্কর তুষারপাতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে শনি গ্রহ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কোটি বছর আগেও মহাকাশের গ্রহগুলির এমন দুরবস্থা ছিল।
না।বারবার মহাকাশ গবেষকদের নজর ছিল শনির দিকে।তারাই এই নবগ্রহের সংসারের মধ্য সবথেকে ‘হ্যান্ডসাম’ বলে চিহ্নিত করেছেন শনিকে।সাতখানা রিং বা বলয় যেন সপ্তমুকুট। তবে মহাকাশবিদরা জানাচ্ছন;জন্মলগ্নে এতটা সুদর্শন ছিল না সে।মাঝ বয়স থেকেই তার রূপ খুলতে শুরু করে।বলয়ের বেষ্টনীতে শনির দ্যুতি চোখ ধাঁধিয়ে যেত মহাকাশচারীদের।কিন্তু এখন শনিরও “শনির দশা’ চলছে। ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে তার বলয়।নিজের অক্ষ থেকে ২৭ ডিগ্রি হেলে গিয়েছে তার বলয়।নাসার ক্যাসিনি ও ভয়েজার মহাকাশযানের পাঠানো ছবি ও ভিডিও থেকেই শনি গ্রহের যাবতীয় এই তথ্য উঠে এসেছে।নাসার পাঠানো উপগ্রহ ক্যাসিনি দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছে শনির বলয়ের আশপাশে।সেখানে কী কী ঘটনা ঘটে চলেছে সে খবর নিয়মিত পৃথিবীতে পাঠায় সে।এই ক্যাসিনিই জানিয়েছে,শনির সাতটি বলয়ে ঝমঝমিয়ে বরফপাত হচ্ছে।একে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘রিং রেন’।বলয়ে জমা বরফ ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে চারদিকে।এতই বৃষ্টি হচ্ছে যে সেই বৃষ্টি আধ ঘণ্টায় ভরিয়ে দিতে পারে অলিম্পিকের আস্ত একটা সুইমিং পুল। নাসার গডার্ড স্পেস সেন্টারের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাবে বরফের বৃষ্টি। হয়ে চললে শনি তার সবক’টি বলয়ই হারিয়ে ফেলবে এক দিন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলের প্রাক্তন অধিকর্তা অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ দুয়ারী।তিনি বলেছেন; ‘শনি গ্রহের জোরালো অভিকর্ষ বল ও চৌম্বক ক্ষেত্রের টানেই বলয় থেকে বরফের বৃষ্টি হচ্ছে শনির বুকে।তবে সব সময় তা সমান হারে হচ্ছে কি না,তা বোঝা যায়নি।’সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর যেমন এক বছর লাগে, তেমনই শনির লাগে ২৯ বছর ৪ মাস।ওই প্রদক্ষিণের সময় সূর্যের সঙ্গে তার কৌণিক অবস্থানে শনি কখন এই সৌরমণ্ডলের নক্ষত্রের কতটা কাছাকাছি আসছে বা থাকছে বা কতক্ষণ থাকছে, তার উপরে ওই বরফ বৃষ্টির পরিমাণে বাড়া-কমা নির্ভর করছে।শনির বলয়গুলির বয়স বেশি নয়,মাত্র ১০ কোটি বছর।শনির বয়সও পৃথিবীর ধারেকাছেই।৪০০ কোটি বছরের বেশি।তবে তার বলয় যে ভাবে দ্রুত ক্ষয়ে। যাচ্ছে, তাতে বলা যায়,অল্প বয়সেই গ্ল্যামার হারিয়ে কিছুটা নুব্জ যেতে পারে। শনি।আনুমানিক ১৬ কোটি বছর আগে শনির একটি উপগ্রহ তার একেবারে কাছে চলে এসেছিল।শনির প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বলে উপগ্রহটি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অসংখ্য খণ্ড হয়ে ছড়িয়ে পড়ে তার কক্ষপথ জুড়ে। শনির চারপাশে একে একে বলয় বা রিং তৈরি করে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শনিকে প্রদক্ষিণ করেছিল নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি।গ্রহটিকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে সে। এই ক্যাসিনিই জানিয়েছিল,শনি হল দৈত্যাকার গ্যাসীয় পিণ্ড। এর ৮৩টি গ্রহ রয়েছে। যার মধ্যে ৫৩টির নামকরণ করা হয়েছে, বাকিদের নাম নেই শনিকে ঘিরে থাকা বলয়ে রয়েছে অসংখ্য বরফ খণ্ড, পাথুরে ধ্বংসস্তূপ ও ধুলো।বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুদূর অতীতে নেপচুনের প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে শনি তার অক্ষ থেকে ২৭ ডিগ্রি বেঁকে যায়।তারপর থেকেই কিছুটা হোলে রয়েছে শনি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.