ভারত ১ লাখ ৫ হাজার টন গম রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশের গমের চরম সঙ্কটের সময় ভারত এক লাখ পাঁচ হাজার টন গম রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে। এই গম বাংলাদেশে পৌঁছার পরপরই বাংলাদেশের বাজারে গমের দাম অনেক কমে গেছে। অন্যদিকে, দেশে পরযাপ্ত গম আছে- এটা জেনে সবার মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে সারা বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে বিশেষ করে গমের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এ সময় ভারতও গম রপ্তানি স্থগিত ঘোষণা করে। ফলে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বাজারে গমের সঙ্কট দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে আটা, ময়দার দামে। এর প্রভাবে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়ে যায় পাউরুটি, বিস্কুট, পরোটা, সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের। এ প্রেক্ষাপটে ভারত আবার গম রপ্তানির অনুমতি দিলে বাংলাদেশে এক লাখ পাঁচ হাজার টন গম রপ্তানি করে ভারতের রপ্তানিকররা। দুইটি জাহাজে ৫২ হাজার ৫০০ টন এবং দ্বিতীয় জাহাজেও একই পরিমাণ গম বাংলাদেশে আসে। ইতিমধ্যেই এ গম চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন সরকারী গম নিয়ে শনিবার (২১ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসেছে ‘ এমভি ভি স্টার’ নামের জাহাজ।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ সনদ সহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার থেকে থেকে এসব গম লাইটারিং করে ( ছোট জাহাজে) পতেঙ্গায় সরকারী খাদ্য বিভাগের সাইলো জেটিতে খালাস করা হচ্ছে। এর আগে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে এসেছে আরেকটি জাহাজ ‘ ইমানুয়েল সি’ । এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক ( অতিরিক্ত দায়িত্ব ) মো. আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মে মাসে দুইটি সরকারী গমের জাহাজ এসেছে। দ্রুত এসব গম সারা দেশে খাদ্য বিভাগের গুদামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাইপ্লাইনে আছে আরও দুইটি জাহাজ। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা সুনীল দত্ত বলেন, ‘ জি টু জি চুক্তির আওতায় এসব গম এসেছে।’ সরকারী চ্যানেলে এসব গম বিক্রি বা বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ টন গম উৎপাদন হয় দেশে। বাকিটা আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।