৪ কোটি টাকা দিলেই মন্ত্রিপদ, অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের ফোন!!
ভাড়ার জুলুমে চরম বিপাকে বিমানযাত্রীরা, সরকার ঘুমে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সামান্য লজ্জাটুকুও নেই বিমান সংস্থাগুলির।রাজ্যের অসহায় বিমানযাত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে ভাড়ায় যথেচ্ছ জুলুমবাজির গতি আরও কেবল বাড়িয়েই চলেছে।
আগরতলা-কলকাতা রুটের বিমান ভাড়া এতটাই বৃদ্ধি
করেছে যে টিকিট নিতে গিয়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়েছেন।ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসীর প্রশ্ন,বিমান সংস্থাগুলি মর্জিমাফিক যথেচ্ছ উচ্চ ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের অবর্ণনীয় চরম সমস্যায় ফেলে দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার কেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।ঘুমে আচ্ছন্ন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরাও।এদিকে, বিমান সংস্থাগুলির ভাড়ার জুলুম রুখতে কেন ডবল ইঞ্জিন সরকার নির্বিকার ও উদাসীন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন। রাজ্যে মানুষের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার রয়েছে।
তারপরও বিমান সংস্থা একতরফা মাত্রাতিরিক্ত বাণিজ্য লাভে রাজ্যের অসহায় যাত্রীর ঘাড়ে কোপ বসিয়ে চরম বিপাকে ফেলে মর্জিমাফিক আকাশছোঁয়া ভাড়া নিলেও রাজ্য সরকার কীভাবে চুপ ও চোখ বুজে থাকতে পারে এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।কেন্দ্রীয় সরকার হলো বিমান সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক।কেন্দ্রীয় সরকার বিমান সংস্থাগুলিকে দেশে বিমান পরিষেবা চালু ও উড়ার লাইসেন্স দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন ও নির্দেশ ছাড়া বা সেসব নির্দেশকে অমান্য করে বিমান সংস্থাগুলি কোনওভাবেই উড়ান চালু রাখতে পারে না। এমনটাই জানিয়েছেন আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরের এক আধিকারিক।
তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বিমান সংস্থাগুলি আগরতলা সেক্টরে দিনের পর দিন মর্জিমাফিক আকাশছোঁয়া ভাড়া তথা টিকিটের মূল্য নিলেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে চলেছে। কেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মানুষের বেহাল বিমান পরিষেবায় দুর্ভোগ, কষ্ট- যন্ত্রণার অবসানে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না- রাজ্যের মানুষের প্রশ্ন সেখানেও।অভিযোগ, রাজ্যের মানুষের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য মিলে ডবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করছে বলে মন্ত্রী-বিধায়ক-নেতারা সর্বত্র প্রচারে-বক্তব্যে তুফান তুললেও বিমান পরিষেবায় ভাড়ার নামে চরম জুলুমবাজি বন্ধে কেন ডবল ইঞ্জিন সরকার কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করে কেন সরকার ঘুমিয়ে আছে এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিমান সংস্থাগুলি গলাকাটা, মর্জিমাফিক ভাড়া নিলেও কেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের তাতে কোনও শব্দ নেই এ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এদিকে শনিবার রাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার আগরতলা থেকে কলকাতায় যেসব বিমান যাবে সব বিমানেই ভাড়া তথা টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা থেকে প্রায় ১৯ হাজার টাকার মতো। এয়ারইন্ডিয়ার ১টি বিমান এআই-৭৪৪ রবিবার দুপুরে কলকাতায় যাবে।এই বিমানে ভাড়া ১৮,৫০০ টাকার উপর। ইন্ডিগো, এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানে রবিবার কলকাতায় যাওয়ার ভাড়া ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকার মতো।
কলকাতা থেকে আসতেও ভাড়া খুব চড়া নেওয়া হচ্ছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, আগরতলা সেক্টরে আকাশপথে অল্প দূরত্বে ও স্বল্প সময়ের জার্নিতে বিমান সংস্থাগুলি যেভাবে মর্জিমাফিক উচ্চ ভাড়া নিচ্ছে তা গোটা দেশের মধ্যে আর কোনও আকাশপথে এমন নজির নেই বলে বিমানবন্দরের সকলেরই একই কথা আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব আকাশপথে মাত্র ৩২৭ কিলোমিটার। আর এই পথে বিমানে সময় লাগে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মতো। রোগী সহ জরুরি কাজে কলকাতায় যেতে বিমানের টিকিটের আগুন মূল্যে টিকিট কেনার সাধ্য না থাকায় বহু মানুষ আটকে রয়েছেন।
সবচেয়ে করুণ দশা রোগীদের।উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যেতে পারছেন না।অসুস্থ শরীর ক্রমেই আরও অবনতির দিকে চলে যাওয়ায় পরিবারের উদ্বেগ বাড়ছে। উচ্চশিক্ষা লাভে ও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারছেন না অনেকেই।নানা জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজেও কলকাতায় যেতে পারছেন না। আটকে আছেন। রাজ্যবাসীর আক্ষেপ, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে বিমান পরিষেবার সুবিধা লাভে একমাত্র ত্রিপুরাই বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও কেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্য ছয় রাজ্যের মতো কম ভাড়ার বিমান নেই কেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান সংস্থা উত্তর পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা বাদে ছয় রাজ্যেই কম ভাড়ার অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান চালু থাকায় সেসব রাজ্যের মানুষের নাগালের মধ্যেই সবসময় বিমানের টিকিটের মূল্য থাকছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উড়ান’ প্রকল্পের বিমান পরিষেবাও ত্রিপুরা বাদে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যে চালু রয়েছে। উড়ান প্রকল্পের বিমানেও ভাড়া অনেক কম। ত্রিপুরার মানুষ উড়ান প্রকল্পের বিমান থেকেও বঞ্চিত।