ভিলেজ ভোটে আইপিএফটিকে পাশে চাইলেন মথা সুপ্রিমো!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচনে আইপিএফটিকে তিপ্রা মথার সাথে জোট করে লড়াইয়ের আহ্বান জানালেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।তিনি বলেন, রাজ্যের ট্রাইবেল জনসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।তবেই তাদের সাংবিধানিক অধিকার আদায় সহজ হয়ে যাবে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশে একটি অংশ কয়েক দশক ধরে রাজ্যে ট্রাইবেল জন সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দিচ্ছে না।এখন সময় এসেছে আমাদের অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক স্বার্থ ও মতাদর্শকে কিছু দিনের জন্য ভুলে যেতে হবে।যাতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার আদায়ে লড়াই করতে পারি। তাই আসন্ন গাঁওসভা ভোটে তিপ্রা মথা ও আপিএফটিকে ঐক্যবদ্ধ জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
আজ ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন,আগামী নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ত্রি- পাক্ষিক চুক্তির দ্বিতীয় দফার বৈঠক তিগ্রা মথার নেতৃত্বের সাথে দিল্লীতে হচ্ছে।তার দাবি ত্রি-পাক্ষিক চুক্তির সবগুলি দাবি আদায়ের জন্যই শাসক দলের সাথে জোট করেছে তিপ্রা মথা।যাতে গত ৭৫ বছরের ভুল সিদ্ধান্তগুলি নির্মূল করা যায়।তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আমাদের চুক্তি হলো।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন,ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী আমাদের অন্যতম দাবি হলো ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসন উপজাতি সংরক্ষিত আসন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।এমনকী ৬০টি আসনের মধ্যে একটি আসন মণিপুরি জনসমাজের জন্য সংরক্ষিত ঘোষণা করতে হবে।১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে সম্মতি দিতে হবে।এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার।ককবরক ভাষাকে ৮৩তম তপশিলে শামিল করতে হবে।আমাদের রাজনৈতিক অধিকার,আর্থ সামাজিক অধিকার, ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, এডিসি এলাকায় স্কুল, হাসপাতাল, কলেজ, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।এ লক্ষ্যেই আমরা ত্রি-পাক্ষিক চুক্তি করেছি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। এই সবগুলি অধিকার আদায় করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।তিনি বলেন, তাই সব বিষয়ে আমাদের রাজনীতি করা ঠিক হবে না।আমাদের মূল লক্ষ্য হলো সাংবিধানিক অধিকার আদায় করতে হবে। তাই ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচনে ব্রু শরণার্থীদেরও সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন,তবে এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে,আমাদের কিছু নেতৃত্ব কথা শুনছেন না। আমার নজরে ররেছে কারা এসব করছেন।মানুষের ভোটে জিতে মানুষের কথা শুনছেন না।উল্টো নেতাগিরি করছেন।দু’জনকে মন্ত্রী বানানোর জন্য আমরা জোট করিনি।তা হয়তো ক্ষমতার আনন্দে অনেকে ভুলে গেছেন।তা ঠিক হচ্ছে না। অপেক্ষায় থাকুন মানুষ আপনাদের উপযুক্ত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত হয়েছেন।ইএম, এমডিসি,এমএলএ হয়ে এখন অন্য সুরে কথা বলছেন। বাড়ি, গাড়ি, কনভয় কিছুই থাকবে না। নির্বাচনের টিকিট না পেলে সব কিছুই চলে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। রাজ্যে একটি অংশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তার অভিযোগ রাজ্যকে মণিপুর বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই আমাদের শান্তি, সম্প্রতি, ঐক্য রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন,বাদল ত্রিপুরাকে থানার মধ্যে মারা হয়েছে। যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য সরকার।আমাদের দাবি তার পরিবারে একটি সরকারী চাকরি রাজ্য সরকারকে প্রদান করতে হবে।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ এ দিনও সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।তারা অভিযোগ রাজ্যে শুধুমাত্র রাজনীতি করছে সিপিএম, জিতেনবাবুরা।তাদের কাছে দলই আগে।তিপ্রাসারা তাদের কাছে এক প্রকার মূল্যহীন।২৫ বছর একটানা শাসন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।আর জিতেনবাবু তো মন্ত্রী ছিলেন,এমপি ছিলেন তবে মানিকবাবুর সামনে কথা বলার সাহস ছিল না।আমরা সাক্রমে প্রার্থী না দিয়ে ভুল করেছি।এখন ভোটে জিতে তিপ্রাসাদের স্বার্থে কথা বলছেন না। অনেকজনকে আমি ভোটে জিততে সাহায্য করেছিলাম। এখন তারা সবাই নির্বাচনের জিতে উপজাতি জনসমাজকে ভুলে গিয়েছেন।এরা সবাই নিজের স্বার্থ আদায়ে ব্যস্ত। তবে তারাও সময়ে উচিত শিক্ষা পাবে রাজ্যবাসীর কাছ থেকে।