অনলাইন প্রতিনিধি :-দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে কাঞ্চনপুর আইসিডিএস প্রজেক্টের দশদা সিডিপিও অফিসের কাজকর্ম। কতিপয় অসাধু সেক্টর সুপারভাইজারদের সহযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ভুয়ো ফিডিং বিল করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না হয় না।অভিযোগ, দশদা সিডিপিও অফিস সংলগ্ন কষ্ট চন্দ্র পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাগজপত্রে ৪৯ জন শিশু পুষ্টি প্রকল্পে সুযোগ পায় বলে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ।বাস্তবে গড়ে পাঁচ-ছয়জন শিশু দৈনিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসে।প্রশ্ন উঠেছে,বাকি প্রায় চল্লিশজন শিশুর পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী কোথায় যাচ্ছে? অভিযোগ উঠেছে কষ্ট চন্দ্র পাড়ার সরবরাহকৃত পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। কষ্ট চন্দ্র পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী
প্রায়দিনই ডিউটিতে আসেন না।শুধু
কষ্ট চন্দ্র পাড়া নয়, বৃক্ষরামপাড়া, কম্বল
টিলা, উত্তর দশদা, বড় হলদি সহ দশদা
সিডিপিও আওতাধীন ৩৮৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অধিকাংশেই একই সমস্যা চলছে। বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র কাগজপত্রে চালু রয়েছে। দশদা প্রজেক্টে অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি উপজাতি. অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেই চলছে। মাসের পর মাস ধরে ওইসব এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কোন সুপারভিশন হচ্ছে না।খিচুড়ি প্রকল্পে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক নথিভুক্ত প্রসূতি মা এবং শিশুরা খিচুড়ি খায়। প্রত্যন্ত জনপদে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী নথিভুক্ত শিশু ও প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে বলে কাগজপত্রে রেকর্ড থাকলেও বাস্তবে পুষ্টি প্রকল্প তো দূরের কথা, বহু জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা পর্যন্ত খোলা থাকে না। অথচ পুষ্টি প্রকল্পের নামে এই মাসেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা ফিডিং বিলের নামে লোপাট হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে মাঝে মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে ডেপুটি ডাইরেক্টররা দশদা সিডিপিও অফিসে তদন্তের জন্য আসেন কিন্তু তারাও সুযোগের বিনিময়ে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে যান।
এদিকে মাসের পর মাস ধরে ওই সব এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সিডিপিও তো দূরের কথা,সেক্টর সুপারভাইজারদের পরিদর্শনের রেকর্ড নেই।পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রীর গোঁজামিল দিয়ে কেরিং ঠিকাদার সংস্থা সরকারী চাল, ডাল এবং সাপ্লায়ার ডিম সয়াবিন সহ পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বাড়িঘরে পৌঁছে দেয়। কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের একটা অংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ডিম সয়াবিন নিয়ে যায়।কোথাও খিচুড়ি প্রকল্পে হাতে গোনা সংখ্যক নথিভুক্ত প্রসূতি মা এবং শিশুরা খিচুড়ি খায়। কিন্তু প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ভুয়ো নামের নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়ের পুষ্টি প্রকল্পের চাল, ডাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।ফলে শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিকের দশদা প্রজেক্টের আওতাধীন একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্প লাটে উঠেছে।কার্যত কাগজেপত্রে পুষ্টি প্রকল্প নিয়মিত চলছে বলে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে দশদা প্রজেক্টের কয়েকটি প্রত্যন্ত জনপদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্প নামকাওয়াস্তে চলছে। প্রত্যন্ত জনপদে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্পের ডিম, সয়াবিন, চাল, ডাল অর্থাৎ পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে বলে কাগজপত্রে রেকর্ড থাকলেও বাস্তবে পুষ্টি প্রকল্প তো দূরের কথা, বহু জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা পর্যন্ত খোলা হচ্ছে না। এদিকে দশদা শিশু নিবিড় উন্নয়ন আধিকারিক নিয়মিত কাঞ্চনপুরে থাকেন না বলে অভিযোগ।
এদিকে, দশদা প্রজেক্টের কয়েকটি প্রত্যন্ত জনপদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্প নামকাওয়াস্তে চলছে। ওই সব এলাকা সফর করে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা পর্যন্ত খোলা হয় না। অথচ দপ্তরের সরকারী রিপোর্টে দেখানো হচ্ছে ওইসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত পুষ্টি প্রকল্প চালু রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ ছিল। নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নথিভুক্তদের বাড়ি ঘরে দিয়ে আসতো। বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালু করার নির্দেশ থাকলেও দশদা প্রকল্পের বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা পর্যন্ত খোলা হচ্ছে না। আনন্দবাজার, শাখানশেরমুন, ভাণ্ডারীমা সহ বেশকিছু প্রত্যন্ত জনপদে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টি প্রকল্পের ডিম, সয়াবিন, চাল, ডাল অর্থাৎ পুষ্টি প্রকল্পের সামগ্রী নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে বলে কাগজপত্রে রেকর্ড থাকলেও বাস্তবে পুষ্টি প্রকল্প তো দূরের কথা, বহু জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা পর্যন্ত খোলা হচ্ছে না। এদিকে, কাঞ্চনপুর মহকুমার দুর্গম অঞ্চল লংগাই পাদদেশ জম্পুইয়ের বেশ কয়েকটি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি গত দুই-তিন বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। মাসে দুমাসে একবার সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা ডাল, চাল, ডিম বিলি করে দিয়ে আসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পড়ুয়া নথিভুক্ত শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের। কিন্তু ওয়ার্কিং রিপোর্টে মাসে মাসে সব ঠিকঠাক চলছে বলে দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ, উঠেছে বছরের পর বছর ধরে জম্পুই পাহাড়ের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সুপারভিশনে কোন আধিকারিক গেছেন বলে রেকর্ড নেই। দেখা যাচ্ছে জম্পুই সিডিপিও অফিসের আওতাধীন দুর্গম এলাকা খুমলাইহা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, থারমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বেম্বুবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, কাঁঠালবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সিমলুং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, থুংলাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং দামদই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি মাসে এক-দুবার খোলা হয়। পুষ্টি প্রকল্পের খিচুড়ি, ডিম, সয়াবিন তো সেখানে আরব্য উপন্যাসের রূপকথার মতো। অথচ ওইসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ভুয়া নথিভুক্ত শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের নামে পুষ্টি প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকার বিল করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই বিষয় নিয়ে দশদা শিশু নিবিড় উন্নয়ন আধিকারিক নিক্সন রিয়াং-কে ফোন করলে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিনা টেন্ডারে প্রায়পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং কাজ সমাপ্তের আগেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধানসরকারী রেফারেল হাসপাতাল জিবির চিকিৎসা পরিষেবার হাল যে ক্রমেই আরও বেহাল দশার…
চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে প্রায়শই রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সাথে চিকিৎসকদের ঝামেলা হচ্ছে।এ নিয়ে চিকিৎসক নিগৃহীত পর্যন্ত হচ্ছেন।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পুলিশের সাথে কৃষকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো শম্ভু ও খানৌরি সীমান্ত। দুই সীমান্ত…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান সরকারী হাসপাতাল জিবিতে আবারও চিকিৎসার অবহেলা ও গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু ঘিরে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের উদ্যোগে ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের বিটিএ অনূর্ধ্ব ১৩ মহিলা ফুটবল…