ভূগর্ভস্থ জল অতলে ঠেলে আকাশে উঁকি দিচ্ছে বহুতল।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-হঠাৎই যেন গত দুই-তিন বছর ধরে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে জেরবার হচ্ছে রাজধানী শহর আগরতলা। মূলত মার্চ মাস থেকেই এই পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়। টানা ৩-৪ মাস চলে এই জল সঙ্কট। এখনও চলছে, শুধু যে পাইপ লাইনে জলের সঙ্কট বা সরবরাহ কমছে তা কিন্তু নয়।যে সমস্ত শহরবাসী তাদের নিজস্ব জলের উৎস থেকে জল তুলেন সেখানেও তীব্র জল সঙ্কট দেখা গেছে।তবে প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎই কেন শহর আগরতলায় এই তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিচ্ছে?এক্ষেত্রে একাংশের পরিবেশবিদ মনে করছেন যে, শুধু যে নদীর জলের উৎসই জলের সঙ্কট রয়েছে তা নয়।

এ শহরের ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও কমছে। আর এই সঙ্কট নাকি অনেকটা মানব সৃষ্ট।তাদের মতে, গত কয়েক বছরে রাজধানী আগরতলা শহরে কয়েক হাজার সুউচ্চ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এমনিতেই হাওড়া নদী ও কাটাখালের মধ্যে শহরের যে বিরাট অংশ রয়েছে সেখানে জলের স্তরের গভীরতা বেশি। এর মধ্যে গত কয়েকবছর শহর আগরতলায় যে কয়েক হাজার সুউচ্চ ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে তাদের সিংহভাগ ক্ষেত্রে পানীয় জলের উৎস হিসাবে ভূগর্ভস্থিত জলের উৎসে হাত
দেওয়া হয়েছে।প্রতিদিনই এ শহরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জলের পাম্প মেশিন বসিয়ে কয়েকশ ফুট নিচ থেকে তুলে আনা হচ্ছে হাজার হাজার গ্যালন জল। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে কয়েকশ ফুট গভীর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার গ্যালন জল তোলা হচ্ছে সেখানে যাদের নিজস্ব জলের উৎসের গভীরতা ৬০ ফুট থেকে ৮০ ফুট তারা গরমকালে জল পাচ্ছে না। কেননা তখন এমনিতেই জলের স্তরের গভীরতা নিচে নেমে ১০০-১২০ ফুট হয়ে যায়। তারপর অপরিকল্পিতভাবে প্রতিদিন ওই ২০০-২৫০ ফুট গভীর থেকে হাজার হাজার গ্যালন জল উঠিয়ে আনছে ওই ফ্ল্যাটবাড়িগুলি।যেহেতু আগরতলা পুরনিগম বা রাজ্য সরকারের জল সম্পদ দপ্তরের (DWRS) এ ব্যাপারে কোনও নজরদারি বা বিধিনিষেধ তাই অপরিকল্পিতভাবেই নাকি এ শহরের ভূগভস্থিত জলের ভাণ্ডারে থাবা বসানো হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার গ্যালন জল তোলা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে। আর এতে করে শহরের নিজস্ব জলের স্তরে যেমন পুকুর, দিঘীর তলের জলের স্তরও নেমে যাচ্ছে। নদীর জলের উৎসগুলিও নানা কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় পুরনিগম, জল সম্পদ দপ্তর এবং পরিবেশ দপ্তর যদি শহরে প্রতিদিন যে কয়েক হাজার গ্যালন জল ভূগর্ভ থেকে তুলে আনা হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নির্দেশিকা এবং নজরদারি না চালায় তাহলে আগামী ২/৩ বছরে শহর আগরতলায় পানীয় জলের জন্য রীতিমতো হাহাকার শুরু হবে। ফলে এখনই সময় থাকতে থাকতে পানীয় জলের ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও পুর প্রশাসনের প্রয়োজনীয় প্ল্যান অব্ অ্যাকশন নেওয়ার দাবি জানালেন শহরের কয়েকজন পরিবেশবিদ।

Dainik Digital

Recent Posts

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

18 hours ago

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

18 hours ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

19 hours ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

2 days ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

2 days ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

3 days ago