ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি হবে রাজ্যে : মন্ত্রী
সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হবে রাজ্যে। মে মাসের প্রথম দিকেই এই ইউনিভার্সিটি স্থাপনের শিলান্যাস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা ও ভেটেরিনারি কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।শনিবার ২৩তম বিশ্ব প্রাণী চিকিৎসা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।ত্রিপুরা ভেটেরিনারি কাউন্সিলের উদ্যোগে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দপ্তরের স্বার্থে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় সেগুলিকে যাতে বাস্তবেও প্রয়োগ করা হয়। অর্থাৎ কোনও পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা ছাড়া যাতে ভাষণে সীমাবদ্ধ না থাকে সে কথাও জানান তিনি।মন্ত্রী বলেন, বৈচিত্র্যময় ত্রিপুরায় অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেগুলিকে কাজে লাগিয়েই রাজ্যের মানুষের আর্থিক এবং খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
আরও বলেন, রাজ্যে যে পরিমাণ মাংস, ডিম কিংবা দুধের চাহিদা রয়েছে, ঠিক তার সম পরিমাণ উৎপাদন নেই।যে কারণে এই চাহিদা পূরণে অন্য রাজ্যগুলির উপর নির্ভরশীল হতে হয়। এক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করে চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হলে বেকারদেরও কর্ম সংস্থানের সুযোগ থাকবে।প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী এ দিন বলেন, দেশের জিডিপিতে কৃষির পাশাপাশি পশু পালনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ড. বি আর আম্বেদকরের এক উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জীবন দীর্ঘ হওয়ার চেয়ে মহৎ হওয়া উচিত’।মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী উন্নয়নমূলক যে কোনও কাজ নিয়েই ময়দানে নেমে স্বচক্ষে সেগুলিকে পরিদর্শন করা প্রয়োজনীয়। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ রাজ্যকে এক – ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গেলে গোটা সিস্টেমের সাথে জড়িত সকলকেই সততা, বিশ্বস্ততা এবং কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. কে শশীকুমার এ দিন বলেন,মোট ৪৬০ জন প্রাণী চিকিৎসক নথিভুক্ত রয়েছেন ত্রিপুরা ভেটেরিনারি কাউন্সিলে।গ্রামীণ ভারতবর্ষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রাণী চিকিৎসকদের।অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপরা ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার ডা. বি দেববর্মা। অবসরপ্রাপ্ত প্রাণী চিকিৎসক ছাড়া এই অনুষ্ঠানে ইন্টার্নরাও উপস্থিত ছিলেন।এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব প্রাণী চিকিৎসা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।