অনলাইন প্রতিনিধি :ত্রিস্তর
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করলো সিপিএম।মামলার শুনানি আগামী ১৮ জুলাই। সিপিএমের অভিযোগ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০০ শতাংশ আসনে ভোট লুটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। শাসকদলের এই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে খোদ স্বরাষ্ট্র দপ্তর।তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ মহানির্দেশক বিরোধী রাজনৈতিক দলের কথায় কর্ণপাত করছে না।বিরোধী সিপিএমের প্রার্থী খুন হচ্ছে, মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হচ্ছে না।পুলিশের উপস্থিতিতে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক বিজেপি সমাজদ্রোহীদের দ্বারা প্রাণঘাতী হামলার শিকার হচ্ছে।সোমবার মেলারমাঠ রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মানিক দে, রাধাচরণ দেববর্মা, নরেশ জমাতিয়াকে – পাশে বসিয়ে এ মন্তব্য করেন ত্রিপুরা – বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ কর।
তার অভিযোগ,ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দিচ্ছে না বিজেপি।রাজ্য নির্বাচন কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করার জন্য বিজেপি আশ্রিত সমাজদ্রোহীদের দ্বারা হামলা অব্যাহত রয়েছে।সারা রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে নানাভাবে প্রাণঘাতী হামলা করছে বিজেপির সমাজদ্রোহীরা।বিডিও-র চেম্বারে ঢুকে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, প্রার্থী সমর্থকদের উপর দৈহিক হামলা হচ্ছে। মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।শুধু তাই নয়, বিডিও অফিস চত্বর আগলে রেখে বিরোধী প্রার্থীদের ঢুকতে না দিয়ে একনায়ক শাসন চালু করেছে বিজেপি।ঘটনাগুলি পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের সামনেই হচ্ছে।পুলিশ প্রশাসন কোথাও কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তাই উচ্চ আদালতে মামলা করাই তাদের শেষ পথ ছিলো।
তার অভিযোগ হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে বিজেপি সমাজবিরোধী দিয়ে মানুষের ভোট লুট করে পঞ্চায়েতের সবটাই দখল করতে ব্যস্ত।এই আশঙ্কার কথা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে আগাম জানানো হয়েছিল।নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং পুলিশ মহানির্দেশকের কাছে ৪ দফা দাবি করা হয়েছিলো। তারমধ্যে অন্যতম দাবি ছিলো ২৮ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা বাড়াতে হবে।অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের সুযোগ প্রদান করা হোক।ভোটকেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং গোটা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনের জন্য যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।কিন্তু একটি দাবিও মানা হয়নি। তাই এখন উচ্চ আদালতে মামলা করেছে সিপিএম।
এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই।রাজ্যে সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত।রাজ্যে মানুষ বিজেপির সাথে নেই।মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে না। তাই বিজেপি ভোট লুটের পরিকল্পনা নিয়েছে। লুটপাটের লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপর প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে। বিজেপি আশ্রিত সমাজদ্রোহীদের হামলায় বিলোনীয়ার রাজনগরের বাদল শীল নিহত হয়।জিতেন চৌধুরীর দাবি, এই জন্যই আমরা ‘অনলাইনে’ মনোনয়ন জমা সহ ৪ দফা দাবির ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম।কমিশন আমাদের দাবি মানতে চায়নি। এতে সমাজবিরোধীরাই মদত পেলো বলে তার অভিমত।
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই। অবশেষে নিজের ইচ্ছেকেই বাস্তবে পরিনত করলো ঝুমা দেবনাথ।…
রাজ্যে কি সত্যিই আইনের শাসন রয়েছে?সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।সরকার বলছে রাজ্যে সুশাসন…