নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্দেহ কাটছে না কংগ্রেসের
ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে শনিবার সকালেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি বেরিয়ে পড়লেন ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণকে নিয়ে । প্রচারশেষে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নিয়ে কোনও ধরনের দ্বিমতই রাখতে চাইলেন না দীপা । দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এদিন বিকেলেও ৮ টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার সমর্থনে পৃথকভাবে আরও একটি প্রচারে অংশ নেন দেশের প্রাক্তন নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী । পরে সেখান থেকে তিনি বলেন , ‘ মানুষ তাদের ভোটাধিকারটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে কি না এটাই হচ্ছে আসল । তবে আমরা নজর রাখছি । দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনেও অংশ নেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।
সেখানে তিনি বলেন , শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য , শহরের বিভিন্ন পরিকাঠামো যেখানে ঠিক নেই সেখানে জলমগ্ন এই শহরকেই আবার স্মার্টসিটি বলা হচ্ছে ! প্রকৃত অর্থে একে আনস্মার্ট বললেও অনেক কম বলা হবে । তার কথায় , সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও এই সরকার শহর আগরতলাকে জলডুবি থেকে রক্ষা করতে পারেনি । অথচ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরই সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী বর্ষার আগেই এর সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । কার্যক্ষেত্রে এই দীর্ঘ সময়েও নিষ্কাশনী ব্যবস্থা সঠিকভাবে করতে পারেনি সরকার— অভিযোগ দীপা দাশমুন্সির । রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি । বলেন , রাজ্যে জনসংখ্যার তুলনায় হাসপাতালের সংখ্যা যেমন কম তেমনি সেগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক শয্যাও নেই ।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসকদেরও অপ্রতুলতা রয়ে গিয়েছে । তার কথা অনুযায়ী , এনএইচএম সূত্র বলছে প্রায় ৩,৯০০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন ত্রিপুরা রাজ্যে । অথচ চিকিৎসক রয়েছেন ৭৯৮ জন । পরিকাঠামোগত দিক থেকেও স্বাস্থ্য পরিষেবায় রাজ্য অনেকটা পিছিয়ে থাকার কারণে কোভিডকালীন সময়ে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যে । প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও অভাব ছিলো বলে তিনি মনে করেন।এদিকে , এই কোভিডকালীন সময়েই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানা ঘোটালার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা – কর্মীদের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগ বিরোধীদের নয় , বরং বিজেপি দলই এ কথা প্রকাশ্যে আনে ।