রাজ্যের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে বুথ অ্যাম , ভোট লুট , ছাপ্পা ভোটের পরিকল্পনার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট । রবিবার মেলারমাঠ সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেছেন , নির্বাচন কমিশনের কাছে সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে । তার অভিযোগ , কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভূমিকা উদ্বেগজনক । শাসকদলের নেতৃত্বে যার ফলে চারটি বিধানসভা এলাকায় সমাজদ্রোহীদের উৎপাত শুরু হয়ে গিয়েছে । একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে যাতে লুটপাট করা যায় । এ লক্ষ্যেই শাসকদলের সমাজদ্রোহী , বাইকবাহিনী , দুর্বৃত্তদের আনা হচ্ছে । কারণ পরাজয়ের ভয় । নারায়ণ করের অভিযোগ , মূলত এ কারণেই শাসকদলের মদতে ২৩ জুন উপনির্বাচনের দিন ভোট লুট , বুথ জ্যাম সহ সন্ত্রাসের আবহ কায়েম করা হবে ।
এ লক্ষ্যে আগরতলা , টাউন বড়দোয়ালী , যুবরাজনগর , সুরমা বিধানসভা এলাকাগুলির হোটেল , আবাসন সহ বিভিন্ন স্থানে মোহনপুর , জিরানীয়া , উদয়পুর , বিশালগড় , কুমারঘাট , পানিসাগর , সোনামুড়া , ধর্মনগর সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা মহকুমা থেকে সমাজদ্রোহীদের এনে জড়ো করা হয়েছে । তাই রাজ্যের মানুষের ভোটাধিকার আবারও লুট হবে । অন্যদিকে পুনরায় সুষ্ঠু , অবাধ , শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রশ্নের মুখে । রবিবার মেলারমাঠ সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নারায়ণ কর আরও বলেছেন , বিজেপি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতৃত্ব ভালো করেই জানেন। মানুষ ভোট দিতে পারলে শাসকদল বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত ।এ কারণেই পুর ও নগর ভোট , লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতোই ভোট লুটের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি । যদিও এ দফায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আশ্বস্ত করেছেন ২৩ জুন উপনির্বাচন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বে হবে । সবগুলি বুথে ওয়েবকাস্টিং কোনও বাধা ছাড়াই চলবে।
এমনকী ২১ জুন সন্ধ্যা পাঁচটার পর একজন বহিরাগতকেও নির্বাচনি এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না । নির্বাচক মণ্ডলী , নির্বাচনি এজেন্ট ( বিরোধী দলের ) নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা । চারটি নির্বাচনি কেন্দ্রের সবগুলি বুথকে অতিস্পর্শকাতর ঘোষণা করা সহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন চার সদস্যক বামফ্রন্ট নেতৃত্ব । নির্বাচন কমিশনের আরও আশ্বাস , এ দফায় রাজ্য নির্বাচন আর কালিমালিপ্ত হবে না । এদিকে , এদিন ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদার ও ৮ টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের প্রার্থী রঘুনাথ সরকারকে জয়ী করার আহ্বানে আগরতলায় নির্বাচনি সভা , বাড়ি বাড়ি প্রচার ও মিছিল করা হয়েছে । এই সভায় বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেছেন , ২৩ জুন ভোটের দিন প্রত্যেকের নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে । কোনও বাধার কাছে মাথা নত করা হবে না । কারণ এখন ঘরে বসে থাকার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে । অনেক হয়েছে প্রহসন । এখন সময় এসেছে ভোট লুটেরাদের জবাব দেওয়ার ।
রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মানুষকে সাথে নিয়ে বাম নেতৃত্বকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীসরকার এবং পবিত্র কর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন আসাম থেকে রাজ্যে এসে আবারও এক ভদ্রলোক বিশ্বাসঘাতকতা করে গিয়েছেন । মানুষ এখন উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত । এদিকে , যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথকে জয়ী করার আহ্বানে অনন্দবাজার এবং উপ্তাখালিতে নির্বাচনি সভায় আলোচনা করেছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী । তিনি বলেছেন , বিজেপি রাজ্যের মানুষের সাথে সর্বক্ষেত্রে প্রতারণা করেছে । তাই উপনির্বাচনে সকল বাধা গুঁড়িয়ে সকলকে ভোটাধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীচৌধুরী । তার মতে , রাজ্যের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা সুষ্ঠু , অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব । যদিও গত সাড়ে চার বছরে বিজেপির অপশাসনে সবকিছু অধরা ।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…