মডেল রেশনশপ হচ্ছে ৬০০টি, উপকৃত ১.১৭ লক্ষ কৃষক,সাত বছরে ৪৪৫ কোটি টাকার ধান ক্রয় : বিধানসভায় সুশান্ত!!

 মডেল রেশনশপ হচ্ছে ৬০০টি, উপকৃত ১.১৭ লক্ষ কৃষক,সাত বছরে ৪৪৫ কোটি টাকার ধান ক্রয় : বিধানসভায় সুশান্ত!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে যতদিন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া থাকবে। দিন দিন ধানের সহায়ক মূল্যও বাড়বে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণেরও বেশি করে কৃষক পরিবারকে আত্মনির্ভর করতে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের পাশাপাশি কৃষকদের সর্বোতভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে সরকার। ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখায় কৃষকরা এখন আর কোন জমি খালি ফেলে রাখেন না।সবকটি কৃষি মরশুমেই জমিতে উৎসবের সঙ্গে ধান চাষ করছেন।পাশাপাশি অন্যান্য ফসলের চাষাবাদও করছেন কৃষকরা। ফসলের ভালো বাজারদরও পাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাজ্য সরকার এক লক্ষ সতেরো হাজার কৃষকের কাছ থেকে দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করেছে এবং সহায়ক মূল্য বাবদ কৃষকদের ৪৪৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে। সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করায় আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন এক লক্ষ সতেরো হাজার কৃষক।বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক দীপঙ্কর সেনের এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান,রাজ্য সরকার ২০১৮ সাল থেকে কৃষকদের আর্থিক
উন্নিয়নের স্বার্থে সরাসরি কৃষকদের থেকে সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।বর্তমানে রাজ্য সরকারের খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক এবং কষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বছরে দুটি (রবি ও খারিফ) মরশুমে নিয়মিতভাবে কৃষকদের থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান।ক্রয় করা হচ্ছে। গত রবি মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে সতেরো হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে যতদিন বিজেপি সরকার থাকবে ততদিন কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে ধান কেনা হবে। এতে কৃষকদের আর্থিক বুনিয়াদ শক্তিশালী হবে। তিনি জানান চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে রবি মরশুমের আওতায় কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী সহায়কমূল্যে ধান কেনা হবে। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকে প্রদান করা লিখিত তথ্য উপস্থাপন করে জানান, বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে সহায়কমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সবুজ সংকেত দিলেও বামফ্রন্ট সরকার ধান ক্রয় না করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা জিগির তুলে মানুষকে শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান,বামফ্রন্ট সরকার ধান ক্রয় ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে কৃষকদের অসত্য কথা বলে তাদের দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার কৃষকদরদি হলে তখনই কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতো। কিন্তু তা করেনি। এ থেকে স্পষ্ট বামফ্রন্ট বরাবরই কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হোক তা চায়নি। অর্থাৎ বামফ্রন্ট বরাবরই ছিল কৃষক স্বার্থবিরোধী।
এদিকে, রাজ্য সরকার বিভিন্ন কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডিলারদের দ্বারা পরিচালিত ৬০০টি রেশনশপকে মডেল রেশনশপ হিসাবে পরিগণিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক নয়ন সরকার এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের দুটি পৃথক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থার আওতায় আছেন এমন ভোক্তার সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার। তিনি জানান, ভারত সরকার সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে চলতি বছরের একত্রিশ মার্চের মধ্যে গণবন্টনের অধীন সমস্ত গ্রাহকদের আধার ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে খুব শীঘ্রই সকল পরিবারকে নতুন পিভিসি রেশনকার্ড প্রদান করা সম্ভব হবে।
এদিকে, রাজ্যে বর্তমানে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার জন্য ছিয়াশিটি এজেন্সি চালু রয়েছে। এর মধ্যে একাশিটি আইওসিএল, তিনটি এইচপিসিএল এবং দুটি প্রাইভেট সংস্থার অধীনে রয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আইওসিএল কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে আরও সাতটি জায়গায় এজেন্সি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.