মণিপুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক।
অবশেষে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্র। বৈঠকে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা সহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।বৈঠকে বিজেপির তরফে ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কংগ্রেসের তরফে মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (এনপিপি),এআইএডিএমকের তরফে এম থাম্বি দুরাই, ডিএমকের তরফে তিরুচি শিবা, বিজেডির তরফে পিনাকী মিশ্র, আপের তরফে সঞ্জয় সিং, আরজেডির তরফে মনোজ ঝা, শিবসেনার তরফে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, নিত্যানন্দ রাই, অজয় কুমার মিশ্র, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, আইবির ডিরেক্টর হয়েছে।প্রায় ৩০০০ ব্যক্তি এখন পর্যন্ত আহতের তালিকায়। গৃহহীন রাজ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ। মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের জেরেই এই হিংসা। মণিপুরে এতদিন ধরে হিংসা চললেও একে কোনওমতেই দমানো যাচ্ছে না। এমনকী এ নিয়ে এখন অবধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্চর্যজনক নীরবতা পালন করায় বিরোধীদের তীব্র প্রধানমন্ত্রীকে।এরই মধ্যে মণিপুরের বেশ ক’জন বিধায়ক সম্প্রতি দিল্লীতে এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে ব্যর্থ হন।শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় মণিপুরকে কাশ্মীর বানাতে চাইছে সরকার। অবিলম্বে মণিপুরে সর্বদলীয় দল পাঠানোর দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি। ডেরেক ওব্রায়েন এদিন অভিযোগ করেন, মণিপুরকে অবজ্ঞা করছে কেন্দ্র।তিনি বলেন, মণিপুরের হিংসার প্রভাব পড়বে মেঘালয়, আসাম, গোটা উত্তর পূর্বে। গোটা দেশ এতে প্রভাবিত। তাহলে কি ধরে নিতে হবে কেন্দ্র মণিপুরকে জম্মু কাশ্মীর বানাতে চাইছে।অন্যদিকে সিপিআইকে মণিপুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন সিপিআই নেতা ডি রাজা।