অনলাইন প্রতিনিধি :-কয়েকটি মণ্ডল (বিধানসভা)বাদে অধিকাংশ মণ্ডলেই ক্ষমতার দখল নিয়ে শাসকদলে রীতিমতো গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে।গত বেশ কয়েকমাস ধরে চলতে থাকা এই গৃহযুদ্ধ এখন আরও প্রবল হয়ে উঠেছে।প্রায়ই এখন মণ্ডলে মণ্ডলে ক্ষমতার দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসছে।এতে আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বাড়ছে, তেমনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে,তাতে রাজ্য বিজেপি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে অনেকেই।শুধু তাই নয়, সরকার এবং দলের মধ্যেও সমন্বয়ের ব্যাপক ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সরকার এবং শাসকদলের এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বিরোধী দলগুলি। যে কারণে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আগের চাইতে এখন অনেক বেশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এখন রাজ্যসভার সাংসদ।নিয়ম মতোই প্রদেশ সভাপতি পদে পরিবর্তন আসবে।রাজীবের বদলে সভাপতি পদে নতুন মুখ আসবে।সভাপতি পরিবর্তন হলে নিয়ম অনুযায়ী প্রদেশ কমিটি, জেলা কমিটি এবং মণ্ডল কমিটিগুলিতেও পদের অদল-বদল হবে।যে কোনও রাজনৈতিক দলে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।দলীয় সূত্রে খবর,আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।ফলে মণ্ডলে মণ্ডলে এখন রাজনৈতিক তৎপরতার সাথে সাথে গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকট হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পুরনো যারা আছে, তারা যেমন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে, নতুনভাবে যারা মণ্ডলের ক্ষমতা দখল করতে চায়, তারাও মরিয়া হয়ে উঠেছে।কেননা, মণ্ডলই এখন কামধেনু।মণ্ডলই নিগো বাণিজ্য, জমি দান্যাল, ঠিকাদারি, চাঁদার নামে তোল্লাবাজি সহ নানা উপায়ে রোজগারের অন্যতম কেন্দ্র বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ।এই বিরোধের জের কখনও কখনও প্রকাশ্যে চলে আসছে। সাম্প্রতিক উদাহরণ, কালীপুজোর রাতে রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনের সামনে টাউন বড়দোয়ালী মণ্ডলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি।এমনটাই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের।বড়দোয়ালী মণ্ডলের সভাপতির দাবিদারকে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে, বর্তমান সভাপতি গোষ্ঠীর অনুগামীরা।গুরুতর আহত হলেও পুলিশের কাছে যাওয়ার সাহস পাননি।অথচ রবীন্দ্র ভবনের সামনে দুই গোষ্ঠীর এই প্রকাশ্যে মারামারি পুলিশের সামনেই ঘটেছে।পুলিশও এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অথচ সকলেই নীরব।স্ব-দলীয়দের হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়ে মণ্ডল সভাপতির দাবিদার এখন নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে খবর। অভিযোগ জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু সকলেই নীরব।
স্বাভাবিকভাবেই এইসব ঘটনায় জনমনে যেমন ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা হচ্ছে, তেমনি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এইসব ঘটনায় চিন্তিত। সামনে ভিলেজ কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাহাড়ে দলের সংগঠন এমনিতেই প্রশ্নের মুখে। অথচ পাহাড়ে দলের জনজাতি মোর্চার এখনও কোনও তৎপরতা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ভোট মিটতেই এক প্রকার হাওয়া হয়ে গেছেন। পাহাড়ের জনজাতিরা এখন আর তার টিকির নাগালও পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে শাসকের অস্বস্তি কিন্তু বেড়েই চলেছে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…