মধ্যরাতে বাসে ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ ২৫।

অনলাইন প্রতিনিধি :-ঘুমোচ্ছিলেন ওরা সবাই। এর মধ্যেই বাসে আগুন ধরে যায়। পরিণতি মর্মান্তিক। ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ২৫জনের। নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। অত্যন্ত মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্র এক্সপ্রেসওয়েতে। বাসে ছিলেন ৩৩ জন যাত্রী। পুনে যাচ্ছিল বাসটি। মাঝ রাত দুটো নাগাদ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। সমরুদ্ধি-মহামার্গ এক্সপ্রেসওয়ের উপর। আগুন লাগার ঘটনায় তিন শিশু সহ পঁচিশ জন জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি আটজন আহতও হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বুলধানা জেলায় এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি খুঁটিতে ধাক্কা মেরে বাসটি উল্টে যায়। তাপরই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাস চালক অবশ্য বেঁচে গিয়েছে দুর্ঘটনার পর। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাসের চালক বলছেন যে বাসটির একটি টায়ার ফেটে যায়। তাতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খঁটিতে ধাকা মারে।পুলিশ আর ও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় সময় বেশিরভাগ যাত্রী ঘুমিয়েছিলেন। বাসটি দরজার দিকেই উলটে যায়। ফলে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে কেউ আর বাসের ভিতর থেকে বের হতে পারেননি। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। বুলধানা জেলার পুলিশ সুপার সুনীল কাদাসানে বলেন, দুর্ঘটনায় পঁচিশ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদস্ত চলছে।এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হল মৃতদেহগুলি সনাক্ত করা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তা হস্তান্তর করা। এই ঘটনায় টুইট করে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি লিখছেন, প্রাণহানির জন্য গভীরভাবে দুঃখিত। মহারাষ্ট্রের বুলধানায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের সাথে আমার চিন্তা ও প্রার্থনা রয়েছে। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে পাশে আছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেও দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারপিছু পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সরকারী খরচে আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ বলেছেন, মৃতদেহগুলি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাদের চেনা যাচ্ছে না। যদি নিহতদের দেহ সনাক্ত করা না যায় তবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনারোধে সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়েতে একটি স্মার্ট সিস্টেম বসানো হচ্ছে। সিস্টেমটি যানবাহনের গতি পরীক্ষা করবে এবং তাদের সতর্ক করবে। তবে এটি কার্যকর হতে কিছুটা সময় নেবে। ততক্ষণ পর্যন্ত রাতের দুর্ঘটনা রোধে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার সে সম্পর্কে আমাদের টোল বুথে চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।