মধ্যরাতে ব্যাপক ভাঙচুর আইজিএমে, ধৃত তিন!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানীর
আইজিএম হাসপাতালে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শিশু ওয়ার্ডে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।জ্বরে আক্রান্ত এক শিশু রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।শিশুকে চিকিৎসকরা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। কিন্তু সেই সময় আচমকা রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।শিশু চিকিৎসক আসতে কেন বিলম্ব হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে শিশু ওয়ার্ডের কাঁচের জানালা, দরজা ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে।খবর পেয়ে পশ্চিম থানার পুলিশ বাহিনী দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসে। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অবস্থার সামাল দেয়। হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় ও চিকিৎসককে চিকিৎসার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ১টা নাগাদ আশিক উদ্দিন নামে জ্বরে আক্রান্ত ১১ মাস বয়সি শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।বাড়ি রাণীরবাজারের দেবীনগর এলাকায়।শিশুর বাবার নাম মৈইন উদ্দিন।কেন মধ্যরাতে হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা প্রফেসর তথা বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জীব দেববর্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,শিশু বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছেন শিশুটি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খিচুনি খাচ্ছিল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্রীদেববর্মা আরও জানান,শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে আসার পর রাতে কর্তব্যরত দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখেন। শিশুর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করেন।স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান,সেই সময় এই শিশু রোগীর সঙ্গে আসা কয়েকজন আত্মীয়স্বজন আচমকা উত্তেজিত হয়ে উঠেন।তারা ব্যাপকভাবে শিশু ওয়ার্ডের কাঁচের দরজা, জানালা ভাঙচুর করেছে। ভাঙচুর করতে গিয়ে তাদের কারোর হাতও কাঁচে কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়।স্বাস্থ্য অধিকর্তা হাসপাতালে তাণ্ডব ও ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তিনি জানান, কলকাতার আর জি কর কাণ্ডের ঘটনার পর হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশও দেন।মঙ্গলবার গভীর রাতে রোগীর আত্মীয়দের এ ধরনের আচরণে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. দেববর্মা নিন্দা করেন।তিনি আরও জানান, সেই শিশুটি চিকিৎসায় ভালো হয়ে উঠেছে।এদিকে পশ্চিম থানার পুলিশ হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় ও চিকিৎসককে সরকারী চিকিৎসার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা হলো সমীর উদ্দিন (২২), মুড়াত মিঞা (২৬) ও সামিন মিঞা (২২)।সকলের বাড়ি রাণীরবাজারের দেবীনগর।পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। মামলার কেস নম্বর ১০৬/২০২৪, তারিখ ৪-৯-২০২৪, সেকশন হলো ১৩১/১৩২/৩২৪(৩)/৩ (৫) অব বিএনএস।

Dainik Digital

Recent Posts

হার্ভের বিরুদ্ধে ৮ জনে খেলে, এক ম্যাচ আগেই নকআউটে ব্লাডমাউথ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-হার্ভেকে গত ম্যাচে হারানোর পরই এ গ্রুপ থেকে সমীরণ চক্রবর্তী স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের…

17 hours ago

জলের দরে বিকোচ্ছে সবজি, মাথায় হাত কৃষকের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শীতকালীন সবজির মতো দ্রুত দাম পড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজিরও।জলের দরে বিকোচ্ছে নতুন উঠে আসা…

17 hours ago

কৃত্রিম ধাতব হৃদপিণ্ড নিয়ে একশো দিন বেঁচে রেকর্ড সৃষ্টি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসেবে টাইটানিয়াম ধাতুর তৈরি কৃত্রিম হৃদ্যন্ত্র নিয়ে ১০৫ দিন বেঁচে…

17 hours ago

শুদ্ধিকরণ ও রাজনীতি!!

এই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থায় অনিয়ম ও এ গড়মিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।স্বৈরাচারী কিংবা…

17 hours ago

মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতালে আগুন!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের একটি হাসপাতালে রবিবার সকালে অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় হতাহতের খবর নেই…

2 days ago

ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী হামলায় ছিন্ন ভিন্ন ৯০ সেনার দেহ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার বেলুচিস্তানে একটি সেনা কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এই হামলার…

2 days ago