মনারচক নিপকো প্ল্যান্টে কর্মীদের বঞ্চনা ঘিরে ক্ষোভ
দীর্ঘ বঞ্চনা এবং কর্তৃপক্ষের তুঘলকি সিদ্ধান্তে সোনামুড়া মহকুমার মনারচকস্থিত নিপকো পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ক্ষোভ এক-দুইদিনের নয়, দীর্ঘদিনের। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে,তাতে যেকোনও সময় এই প্ল্যান্ট বন্ধ হতে পারে।মনারচক নিপকো পাওয়ার প্ল্যান্টে বিভিন্ন বিভাগে ১৬০ জন লোক কাজ করছে। এরা সকলেই শিক্ষিত,কেউ ইঞ্জিনীয়ার,কেউ আইটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং স্নাতক।এদের কেউ পাঁচ বছর ধরে, কেউ দশ বছর ধরে,কেউবা আরও বেশি বছর ধরে কাজ করে চলেছে। অথচ তারা কাজ অনুযায়ী বেতন পাচ্ছে না। এমনকী নিপকো থেকে কোন ও সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে না।অথচ কিছু অফিসার ঠিকাদারদের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।অফিসাররা নিজেদের আরাম-আয়েস,ভোগ বিলাসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন ও আন্তরিক হলেও দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করা ওই কর্মীদের জন্য তাদের ভাবার কোনও অবকাশ নেই।মনারচকে নিপকো পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়েছে ২০০২ সালের ২ মার্চ।দীর্ঘ ২১ বছর ধরে নিপকোতে কর্মরত কোনও কর্মীকে নিয়মিত করা হয়নি। যখনই কোনও নিয়মিত পদ শূন্য হয়,সবসময়ই আসাম থেকে লোক নিয়োগ করে ত্রিপুরায় পোস্টিং দেওয়া হয়।বিস্ময়কর ঘটনা হলো,ওইসব শূন্যপদে অফিসারদের আত্মীয়স্বজনদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে (পত্রিকায়) নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আসাম থেকে লোক নিয়োগের জন্য।ত্রিপুরার ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত পদে নিয়োগের কোনও সুযোগ দেওয়া হয় না।অভিযোগ, মনারচক নিপকো প্ল্যান্টে কর্মরত দুই-তিনজন আধিকারিক নিজেদের মর্জিমতো কাজ করছেন এবং ব্রিটিশ শাসন কায়েম করেছেন।ন্যায্য মজুরি তো দূরের কথা মেডিকেল সুবিধা পর্যন্ত পায় না এখানের অনিয়মিত কর্মীরা।এ ব্যাপারে তারা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।সরকার যেন এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে,তার দাবি জানিয়েছে অনিয়মিত কর্মীরা।