ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
মন্ত্রীর নির্দেশে কঠোর প্রশাসন, রেশনসামগ্রী বেপাত্তা করায় ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

অনলাইন প্রতিনিধি || সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকান জায়গায় জায়গায় খুলে ভোক্তাদের রেশনসামগ্রী দেওয়ার নামে একাংশ অসাধু রেশন ডিলার ভোক্তাদের বঞ্চিত করে রেশনসামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। ভোক্তা সাধারণের এই অভিযোগ বহুদিনের। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই বিষয়ে কঠোর ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা প্রশাসন সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে যাচ্ছে। গত কিছুদিনের মধ্যে খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা প্রশাসনের খাদ্য শাখার তরফে আগরতলা পুর নিগম অঞ্চলের বেশক’টি সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকানে আচমকা খাদ্যসামগ্রীর স্টক যাচাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ব্যাপক পরিমাণে চাল, ডাল,চিনি খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন রেশন ডিলার।সেসব রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে সদর মহকুমাশাসক কঠোর ব্যবস্থাও নিচ্ছেন।শনিবার অরুন্ধতীনগর পুলিশ হাসপাতালের কাছে ১৬৫ নম্বর রেশন দোকানে অভিযানে যান সদর মহকুমাশাসক অফিসের খাদ্য বিভাগের এসডিসি প্রদীপ কুমার ভৌমিক, মুখ্য খাদ্য পরিদর্শন দেবজ্যোতি চক্রবর্তী প্রমুখ।তারা দেখেন ইপস মেশিনের সঙ্গে স্টকে ব্যাপক গরমিল রয়েছে।১৬৫ নম্বর রেশন দোকানের ডিলার হলেন ফতেমা খাতুন।৪২ কুইন্টাল চাল ও ৪৪০ কিলো চিনি রেশন দোকান থেকে বেপাত্তা করে দেওয়া হয়েছে।এ দিনই অভিযানকারী দল চান্দাইন্নামুড়ায় ১৬৯ রেশন দোকানে অভিযান চালান।রেশন দোকানের ডিলার হলেন মনীষা সরকার।ইপস মেশিনে স্টক যাচাই করে অভিযানকারী দলের অফিসাররা দেখেন ৯ কুইন্টাল চাল ও ১২৬ কিলো চিনি বেপাত্তা করে দেওয়া হয়েছে।দুটি রেশন দোকানের বিরুদ্ধে সদর মহকুমাশাসক অরূপ দেব কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে,ব্যবস্থা নিতে প্রথমে ডিলারকে শোকজ নোটিশ দেবেন সোমবারের মধ্যেই। তারপর রেশন দোকান বরখাস্ত করা হতে পারে বলেও দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।রেশনসামগ্রী বেপাত্তা করায় সম্প্রতি উত্তর যোগেন্দ্রনগরের ১২৪ নম্বর রেশন দোকানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিলার হলেন প্রতিভা সাহা ও নতুননগর কো-অপারেটিভ এলাকায় ২৩৫ নম্বর রেশন দোকানকেও বরখাস্ত করে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে,যেসব রেশন দোকান থেকে যত পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী বেপাত্তা করে দিয়েছে রেশন দোকানের ডিলাররা সেই সমস্ত খাদ্যসামগ্রী বাজার থেকে কিনে এনে দিতে হবে। শুধু কিনে এনে দিলেই চলবে না,ব্যাপক দুর্নীতির কারণে তার পাশাপাশি সেই রেশন দোকানগুলি প্রথমে সাময়িককালের জন্য বন্ধ,পরে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে খাদ্য দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।বেপাত্তা করে দেওয়া সেই পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী নির্দিষ্ট সময়মতো বাজার থেকে কিনে এনে না দিলে অভিযুক্ত রেশন দোকানগুলির ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় ৪০৬,৪০৯ আইপিসি ধারায় মামলাও করা হবে।