মন্ত্রী বিধায়ক ঘেরাও করবে এসএফআই

 মন্ত্রী বিধায়ক ঘেরাও করবে এসএফআই
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

শিক্ষক সঙ্কটে ধুঁকছে রাজ্যের হাজারো সরকারী স্কুল । কিন্তু নিয়োগ নেই । ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ।তাই শিক্ষকস্বল্পতা দূর করার জন্য স্কুল পড়ুয়ারা পর্যন্ত রাজপথে বসে আন্দোলন শুরু করেছে । কিন্তু এরপরও বিজেপি জোট সরকারের কোনও হেলদোল নেই । উল্টো ছাত্রদের পর্যন্ত সমাজদ্রোহীদের লেলিয়ে দিচ্ছে । এই অভিযোগ এনে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজ্যব্যাপী রাজপথ অবরোধ করলো এসএফআই , টিএসইউ । এদিন পূর্ব ঘোষিত আন্দোলন সূচি মোতাবেক সকাল ১১ টায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মহকুমাসহ আগরতলায় ১৫ মিনিটের জন্য রাজপথ অবরোধে বসে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন । যদিও রাজপথে বসার সাথে সাথেই পুলিশ প্রশাসন বাম ছাত্র নেতৃত্বকে আটক করে নিয়ে যায় । ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রাজধানীর বটতলা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠে । কারণ মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যও বাম ছাত্র সংগঠনকে রাজপথে বসার অনুমতি দিল না পুলিশ প্রশাসন । এদিকে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেবের আরও অভিযোগ , রাজ্যের বিজেপি জোট সরকার সরকারী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করছে । ফলে রাজ্যের হাজার হাজার স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ । অথচ এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টেট উত্তীর্ণ বেকার রাজপথে ঘুরছে । কিন্তু নিয়োগ নেই । তবে অবাক করার বিষয় হলো , রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল রাজ্যে ১৫ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য । কিন্তু রাজ্যে শিক্ষকের চাকরির জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন বেকার যুবক – যুবতী নেই । অন্যদিকে এর থেকে একধাপ এগিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী প্রথম বললেন , ১৪ হাজার ৭৯০ টি শিক্ষক পদ শূন্য । এরপর বললেন ১২ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য । এর কিছুদিন পর আবার বললেন ১১ হাজারের উপর শিক্ষক পদ শূন্য । রাজ্যে নাকি টেটু উত্তীর্ণ শিক্ষিত বেকার যুবক – যুবতী নেই । তাই নিয়োগ করা হচ্ছে না । আর এখন আবার শিক্ষামন্ত্রী বলছেন পুজোর আগে নাকি ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে । একজন টেট উত্তীর্ণও রাজ্যে বেকার থাকবে না । অথচ দেখা গেল মাত্র ৬০০ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিল রাজ্য সরকার । যদিও বেকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার । তবে পুজোর আগে কোন পথে টেট উত্তীর্ণ রাজ্যের বেকার যুবক – যুবতীদের সরকারী স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি প্রদান করবেন শিক্ষামন্ত্রী । এ প্রশ্নের কোনও উত্তর তার কাছে নেই । এমনকী বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় দেড় হাজার পদে নিয়োগের গল্প পর্যন্ত গায়েব । শুধু তাই নয় , স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অধীনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক পদ কেন অবলুপ্তি করলো জোট সরকার ? এ প্রশ্নেরও কোনও উত্তর রাজ্য সরকারের কাছে নেই । উল্টো শিক্ষক নিয়োগের দাবি করলেই রাষ্ট্রীয় শক্তির অনৈতিক প্রয়োগ করছে সরকার । এদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে । কারণ সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীর সমর্থন আন্দোলনে ছিল । তাই জোট সরকারের রাতের ঘুম নেই । সন্দীপন দেব আরও বলেছেন , এখন আর কোনও অনুমতি নেওয়া হবে না । শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজ্যব্যাপী বিজেপি জোট সরকারের নেতা , মন্ত্রী , বিধায়কদের রাজপথে ঘেরাও করবে এসএফআই , টিএসইউ । ছাত্রনেতা সুজিত ত্রিপুরার অভিযোগ শিক্ষক সঙ্কটের জন্য রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা , এডিসি , গ্রাম ও পাহাড়ের সরকারী স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ । এমনকী অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এডিসি এলাকার প্রায় ৪৫১ টি বিদ্যালয় একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে । এই হলো বিজেপি সরকারের শিক্ষা বিপ্লব ! নেতাজী দেববর্মা , সুলেমান আলি – সহ অন্যরা রাজপথ অবরোধে উপস্থিত ছিলেন ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.