মহাকাশে তপ্ত সমুদ্রের খোঁজ পেল নাসার টেলিস্কোপ!!

 মহাকাশে তপ্ত সমুদ্রের খোঁজ পেল নাসার টেলিস্কোপ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পৃথিবীর বাইরে বিশাল মহাশূন্যে আর কোনও বাসযোগ্য গ্রহ আছে কি না, অনেক দিন ধরে সেই খোঁজে মগ্ন নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।যদিও নাসার বিজ্ঞানীরা নন, বরং তাদের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে যে গবেষণা করেছেন, তার ভিত্তিতে সম্প্রতি দাবি করেছেন, তাদের ওই দৈত্যাকার টেলিস্কোপ মহাকাশে খুঁজে পেয়েছে এমন এক সমুদ্র, যার জল ফুটন্ত। সেটি রয়েছে নেপচুন গ্রহের দূরবর্তী উপগ্রহে।ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সংবাদপত্রে এ নিয়ে সবিস্তারে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা সৌরজগতের বাইরে এমন একটি দূরবর্তী গ্রহের (এক্সোপ্লানেট) সন্ধান পেয়েছেন, যেখানে সম্ভবত উত্তপ্ত জলের গভীর সমুদ্র রয়েছে।বস্তুত, ওই এক্সোপ্লানেট আচ্ছাদিত হয়ে আছে সমুদ্রে।এই খোঁজ মহাকাশ গবেষকদের নতুন দিশায় নিয়ে যাবে বলে মনে করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক।নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা সৌরজগতের বাইরের ওই উপগ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প, মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের রাসায়নিক নমুনা দেখার দাবি করেছেন। এই এক্সোপ্লানেটটির নাম টিওআই-২৭০ ডি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওই গ্রহটির আকার পৃথিবীর ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ এবং এটি পৃথিবী থেকে ৭০ আলোকবর্ষ দূরে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেছেন, তারা যে রাসায়নিকের মিশ্রণ পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা জলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে রয়েছে হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল আর গ্রহজুড়ে বিস্তৃত এক সমুদ্র।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক নিক্ মধুসুদন বলেন, ‘ওই গ্রহের সমুদ্রের যে জল, তা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেশি উষ্ণ হতে পারে। বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অনেক বেশি থাকায় এই মহাসাগর তরল অবস্থায় বিরাজ করতে পারে।’ তবে ওই গ্রহ বসবাসযোগ্য কি না, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।
অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স লেটারস জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।তবে কানাডার এক দল বিজ্ঞানী এই এক্সোপ্লানেটটি নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করে তাদের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। তারাও এক্সোপ্লানেটটির বায়ুমণ্ডলে একই রাসায়নিক থাকার কথা বলেছেন।তবে তাদের যুক্তি, তরল জলের জন্য ওই এক্সোপ্লানেটটি অনেক বেশি উষ্ণ।তাদের যুক্তি, সেখানকার পৃষ্ঠ পাথুরে হতে পারে।এর বায়ুমণ্ডলে ঘন হাইড্রোজেন ও জলীয় বাষ্প থাকতে পারে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠায় নাসা। এটি পৃথিবী থেকে ১০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থিত।২০২২ সালের ১১ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ্যে আনেন।১,৩০০ কোটি বছরের মধ্যে সেটি মহাশূন্যের সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি বলে দাবি করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.