মহাকাশ ভালোবাসেন!এবার পড়ার সুযোগ মিলবে ইসরোয়
ছোট থেকেই রাতের আকাশে চাঁদ-তারার দিকে তাকিয়ে থেকে ভেবেছেন মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়বেন। ইসরো কিংবা নাসায় চাকরি সুযোগ মিলবে: এমনটাই হয়তো স্বপ্ন দেখতেন জন আর পাঁচ মহাকাশপ্রেমীদের মতোই। কিন্তু দ্বাদশ মানের একটি পরীক্ষাই সব স্বপ্নকে এক পলকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। যোগ্যতা অর্জনে সে সুযোগ হয়নি। গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র সহ মহাকাশের সমস্ত বিষয়ে যাদের প্রবল আগ্রহ রয়েছে তারাও এবার ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোয় পড়ার সুযোগ পাবে। যাদের উপযুক্ত নম্বর না থাকায় সেই সুযোগ থেকে যারা বঞ্চিত তাদের সকলের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে ইসরো। চলতি বছরের মে মাসে ইসরোর তরফে মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। যেখানে বিজ্ঞানীদের থেকে সরাসরি অনলাইন প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিনামূল্যেই স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম বা ‘স্টার্ট’-এই কর্মসূচির মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিষয় শেখার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন।
সমগ্র প্রশিক্ষণ পর্বকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ এ তে তোলা হয়েছে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেফিজিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন এই দুটো বিষয় থাকতেই হবে। যদি এই দুটো বিষয় না থাকে, তাহলে প্রযুক্তিগত যেকোন দু’টি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো দু’টি বিষয় থাকতে হবে। এই বিষয়গুলি হল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স, রেডিওফিজিক্স, অপটিক্স অ্যান্ড অপটো-ইলেকট্রনিক্স, ইনস্ট্রুমেনটেশন। দ্বাদশ মানের পরীক্ষায় কী নম্বর পেয়েছিলেন ভুলে যান। যেকোন নম্বর নিয়ে
স্নাতকোত্তরের কিংবা স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। আর গ্রুপ ‘বি’ বিভাগ যে কোনও ক্ষেত্র থেকে আসা কোনও আগ্রহী প্রার্থী সরাসরি রেজিস্টার করতে পারবে এবং ইসরোর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে লাইভ সেশনে যোগ দিতে পারবে। যদিও এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনেরই সুযোগ পাবেন। তাদের কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। অনলাইন প্রশিক্ষণ আগামী ২০ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত হবে। প্রশিক্ষণের শেষে অনলাইন পরীক্ষায় সফল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য লাইভ অনলাইন সেশনে নূন্যতম ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় পেতে হবে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। যে সকল পড়ুয়ারা প্রাথমিক পরীক্ষা হয় ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন তারা পরবর্তী পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ বা অ্যাডভান্সড কোর্সেও ভর্তির সুযোগ নিতে পারবেন।
এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে আর্থ অ্যান্ড নিয়ার আর্থ স্পেস, সোলার সিস্টেম এক্সপ্লোরেশন, স্পেস মিশন ডিজাইন অ্যান্ড অবজারভেশন, অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, কসমোলজি-সহ মহাবিশ্বের নানান রহস্যময় বিষয় সম্পর্কে শেখানো হবে। ইসরোর ই-ক্লাসরুম প্ল্যাটফর্মে দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ চলবে। মোট তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে ট্রেনিং।