মহাবিশ জুড়ে গ্রহগুলিতে হীরা – বৃষ্টি হতে পারে । হ্যাঁ , গবেষণাপত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন জার্মানির একদল পদার্থবিদ । তারা জানিয়েছেন , হীরা – বৃষ্টি হতে পারে সৌরজগতের দুরতম দুই গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুনে । প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে গবেষণার সূত্রে এই তথ্য বিজ্ঞানীরা আহরণ করেছেন । বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সৌরজগৎ সম্পর্কে অজানা অনেক ক্রমান্বয়ে সামনে নিয়ে এলেও ঘটনা এটাই যে আমাদের মহাবিশ্ব এখনও রহস্যে ঘেরা । সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেন , মহাকাশ জুড়ে বিভিন্ন গ্রহে হীরা – বৃষ্টি হতে পারে ! ইউরেনাস এবং নেপচুনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত বৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে বিবিধ তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা এমন ধারণায় পৌঁছেছেন । বিজ্ঞানীরা অতীতে দেখিয়েছেন যে ‘ বরফ গ্রহে ‘ অত্যন্ত উচ্চ চাপ এবং তাপমাত্রা হাইড্রোজেন এবং কার্বনকে কঠিন হীরাতে পরিণত করে । অতি সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্সেস বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় সামনে এসেছে , মহাকাশে ‘ হীরার বৃষ্টি ‘ বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়ে বেশি মাত্রায় ঘটতে পারে ।নেপচুন এবং ইউরেনাসের মতো বরফ গ্রহগুলিকে আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলির সবচেয়ে সাধারণ রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয় । ইউরেনাস ও নেপচুনকে বিজ্ঞানীরা ‘ আইস জায়ান্ট ’ গ্রহ বলে থাকেন । জার্মানির এইচজেডডিআর রিসার্চ ল্যাবের বরিষ্ঠ পদার্থবিদ এবং গবেষণাপত্রের লেখক ডমিনিক ক্রাউস বলেছেন , মহাবিশ্বে হীরার বর্ষণ পৃথিবীতে জলের বৃষ্টির মতো নয় , হীরা – বৃষ্টির চরিত্র আলাদা । হীরা গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা পিইটি প্লাস্টিক ব্যবহার করেছেন , যা সাধারণত জলের বোতল এবং খাবারের প্যাকেজিংয়ে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । কী ভাবে তারা এই গবেষণাটি করেছেন ? অধ্যাপক ডমিনিক ক্রাউস বলেছেন , তারা ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল অ্যাক্সিলারেটর ল্যাবরেটরিতে প্লাস্টিকের পেট বোতলের মধ্যে কার্বন , হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের মিশ্রণে একটি উচ্চ – ক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল লেজার প্রবেশ করান । ক্রাউস বলেছেন , তিনি খুব হালকা এক্স – রে আলোর আভায় ন্যানোডায়মন্ডের ( অতি ক্ষুদ্রাকৃতির হীরা ) গঠন লক্ষ্য করেছেন । যদিও এই ছোট হীরাগুলি খালি চোখে দেখা খুব কঠিন ছিল । তিনি ব্যাখ্যা করেছেন , যে গ্রহগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন উপস্থিত সেখানে হাইড্রোজেন পরমাণুগুলিকে কার্বন থেকে আলাদা করতে সহায়তা করে । এই প্রক্রিয়াতেই হীরা তৈরি হয় । প্রশ্ন জাগে মহাবিশ্বে এই ধরনের হীরা – বৃষ্টি হলে পৃথিবীতে তার কী প্রভাব হবে ? পৃথিবীর মাটিতে কী , সেই বৃষ্টির ছাঁট এসে লাগবে ? বিজ্ঞানী . ক্রাউস লিখেছেন , এই পরীক্ষাটি ন্যানোডায়মন্ড তৈরির একটি নতুন উপায় নির্দেশ করে । তার কথায় , ‘ মোদ্দা কথা হল , হীরা – বৃষ্টি এখনও একটি কাল্পনিক ঘটনা হিসাবে রয়ে গেছে কারণ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ ইউরেনাস এবং নেপচুন সম্পর্কে আমরা এখনও খুব বেশি তথ্য আহরণ করতে পারিনি । প্রকৃত পক্ষে উভয় গ্রহেই মিথেন গ্যাস রয়েছে , যার মধ্যে কার্বন আছে । উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের কারণে কার্বন কখনও কখনও মিথেন থেকে পৃথক হয় এবং ভারী চাপের কারণে , এই স্ফটিকগুলি তৈরি হতে শুরু করে যা আদতে একটি হীরা ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন সিবিআই কর্তা নিয়োগ করতে হবে আর সেই উদ্দ্যেশ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী সিজন ১২ এর পবনদীপ রাজন ৷ উত্তর…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ১৮ মে দু'দিনের জন্য কেরল সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-উজ্জ্বয়ন মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিভীষিকাময় আগুন। মন্দিরের উপর থেকে গলগল করে নির্গত হচ্ছে কালো…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে নতুন করে আবার হত্যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৬৩ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন অড্রে ব্যাকেবার্গ নামে…