এমনও হয়! পূর্ব মেক্সিকোর একস্ট্রাপুলকা শহরের এক গর্ভবতী মহিলা দাবি করেছেন, তার গর্ভে একসঙ্গে বড় হচ্ছে একটি-দুটি-তিনটি নয়, ১৩ টি সন্তান। তবে গর্ভাশয়ে ১৩ টি ভ্রুণ এখনও সম্পূর্ণ পুষ্ট হয়নি। চিকিৎসকরা আলট্রা সোনোগ্রাফি করে দেখেছেন, মহিলা যা দাবি করেছেন, তা মিথ্যা নয়। সোনোগ্রাফের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন। তবে তেরোটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা সংশয়ী। ওই মহিলা প্রথমে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দেন। তৃতীয় পর্বে তিনিই জন্ম দেন একসঙ্গে তিনটি সন্তান। তার ছয় সন্তান বর্তমানে সুস্থ। মহিলা চান, তার কোল আলো করে আসুক তেরোটি সন্তান। কিন্তু চাইলেই সব হয়না। একসঙ্গে তেরোটি সন্তানকে লালনপালন করা যে কোনও সাধারণ পরিবারের পক্ষে অত্যন্ত দুরূহ কাজ।
তাই আর্থিক অনুদান চেয়ে ওই মহিলার স্বামী স্থানীয় কাউন্সিলার জেরার্দো গুইরেরোর মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। কাউন্সিলার গুইরেরো সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে জানান, চিকিতসকদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সরকার থেকে অর্থ সাহায্য পেতে পারেন ওই মহিলা।
আলোচ্য মহিলার নাম মার্তিজা হার্নান্দেজ। তার স্বামীর নাম আন্তোনিও সোরিয়ানো। তিনি দমকল বিভাগের সাধারণ এক কর্মী। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নেভানো তার পেশা। নিম্ন মধ্যবিত্ত এই পরিবারের ছয়টির পাশাপাশি আরও ১৩ টি বাচ্চাকে একসঙ্গে প্রতিপালন করা সম্ভব নয়। যদিও আন্তোনিও জানিয়েছেন, তিনি মোট ১৯ টি সন্তানের গর্বিত পিতা হতে চান। ব্রিটিশ অনলাইন সংবাদ পোর্টাল ‘মিরব’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাউন্সিলার জেরার্দো গুইরেরো বলেছেন, ‘আমি পৌরসভার মেয়রের মাধ্যমে জাতীয় সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে আন্তোনিও সোরিয়ানোর আবেদনপত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছি।
মেয়র আমাকে জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। গুইরেরো বলেন, ‘আমার কথা হল, সরকারি অর্থের দিকে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা না করে আমি এই শহরের সর্বসাধারণকে অনুরোধ করছি, আপনারা যে যার সাধ্যমতো মহিলাকে সাহায্য করুন। তিনি যদি একসাথে ১৩ টি নবজাতকের জন্ম দেন, মেক্সিকোর পক্ষে তা হবে এক ঐতিহাসিক ঘটনা।’ গুইরেরো জানান, আন্তোনিও গত ১৪ বছর ধরে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে ফায়ারম্যানের কাজ করছেন। তার মাসিক বেতন বেশি নয়। বড়সড় অগ্নিকান্ড ঘটলে তিনি বাড়তি কিছু ভাতা পান। তবে সেই টাকায় ওই পরিবারের পক্ষে এতগুলি সন্তানকে বড় করে তোলা সম্ভব নয়। কাউন্সিলার জানান, ২০১৭ সালের ১ জুলাই হার্নান্দেজ প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট একসঙ্গে তিনটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ফের গর্ভবতী হন হার্নান্দেজ। চিকিৎসকরা সোনোগ্রাফ করে দেখেছেন, তার গর্ভে একসঙ্গে বেড়ে উঠছে ১৩ টি সন্তান। এদিকে সোনোগ্রাফের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা কার্যত স্তম্ভিত। তারা বলেছেন, একসঙ্গে ১৩ টি সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা গোটা বিশ্বে এক বিরল ঘটনা। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় গোসিয়ামে থামারা সিথোলে নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ বধূ একসঙ্গে দশটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তার মধ্যে সাতটি ছেলে তিনটি মেয়ে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…