মহিলা সংরক্ষণ বিল, কৃতিত্ব নিয়ে টানাপোড়ন!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। মঙ্গলবার গনেশ চতুর্থীর পূর্ণ লগ্নে দেশের পুরোনো সংসদ ভবন ছেড়ে নবনির্মিত সংসদ ভবনে পথচলা শুরু করেছে ভারত। এদিন নয়া সংসদ ভবনে আয়োজিত বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনই পেশ করা হলো বহুচর্চিত, এবং বহু আকাঙ্ক্ষিত মহিলা সংরক্ষণ বিল। এই বিলে লোকসভা এবং রাজ্যগুলোর বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করে কেন্দ্রের মোদি সরকার মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে।
কেননা,এটি এমন একটি বিল, যে বিলের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলতে পারছে না কোনও বিরোধী দলই।
বরং এই বিলকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে, তৃণমূল কংগ্রেস সহ তামাম বিরোধী দল গুলোকে সংসদে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। এর পিছনে একটাই কারণ, আর তা হলো ভোট ব্যাঙ্ক। তবে এর মধ্যে ভিন্ন ছবিও উঠে এসেছে। মোদী সরকারের মাস্টার স্ট্রোকে বেসামাল বিরোধীরা এখন এর কৃতিত্ব নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু করেছে। কংগ্রেস দাবী করেছে, এই বিল তারা আগেই পেশ করেছিল। প্রশ্ন উঠেছে, যদি কংগ্রেসের এই দাবী সঠিক হয়, তাহলে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হলো না কেন? এর কোনো জবাব অবশ্য কংগ্রেসের তরফে এখোনো পাওয়া যায়নি।
যদিও মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসের এই দাবী খন্ডন করে বলেছেন, এমন কোনো প্রমান থাকলে তা সংসদে পেশ করার জন্য। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, এর আগে বহু সরকারের আমলেই হয়েছে এই বিল পেশ ও পাস করার প্রয়াস। কিন্তু সম্ভবত ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল তিনিই এই পবিত্র কাজটি করবেন। তাঁই তাকেই ঈশ্বর বাছাই করেছেন। এমনটাই দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
তবে এবার বহুচর্চিত এই বিল পাস হলেও, এখনই তা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা, এর আগে সারা দেশেই লোকসভা নির্বাচনী এলাকা সীমানা পুননির্ধারণ করতে হবে। এর জন্য অনেকটা সময় লাগবে। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে ২০২৪ সালে না হলেও ২০২৯ সালের নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর হয়ে যাবে। তার আগে রাজ্যগুলিতে এই বিল কার্যকর হবে। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে, মোদি সরকার যে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে, তাকে বিরোধীরা কিভাবে মোকাবিলা করবে? সেটাই এখন দেখার।