নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
মাংসাশী শামুকের খোঁজ মিলল কোলাপুরে
কোলাপুরের বিশালগড় সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে এবার নতুন প্রজাতির এক মাংসাশী ভূমি শামুক আবিষ্কার করলেন প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ তেজাস ঠাকরে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র তেজাস অনেকদিন ধরেই এই প্রাণীবিদ্যার ওপর নানা গবেষণা চালিয়ে আসছেন । ২৬ বছর বয়সি তেজাস ঠাকরে ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডশনের প্রধান । সম্প্রতি তেজস তার দুই সহকর্মী আমরুত ভোসলে এবং ওঙ্কার যাদবের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা চালাতে গিয়েই এমন একটি নতুন প্রজাতির শামুকের দেখা পেয়েছেন । যে শায়েদ্রি রেঞ্জ থেকে এই প্রাণীটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেই এলাকা বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত এলাকা বলেই পরিচিত । বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , এই এলাকা থেকে এমন একটি প্রাণীর সন্ধান পাওয়ার পরে এটা প্রমাণিত হয়ে গেল যে , এই এলাকাটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার তা একেবারেই সঠিক ছিল ।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই এই নতুন প্রজাতির প্রাণীটির সন্ধান পাওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে । ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই এই এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকার আওতায় নিয়ে আসার বিষযে প্রস্তাব দেয় রাজ্যের বন্যপ্রাণী বোর্ড । বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , এই ধরনের শামুকের সন্ধান পাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ । কারণ এর ফলে এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে , ঠিক যেমন পরিবেশে এই প্রাণীরা থাকতে অভ্যস্ত সেই বাস্তুতন্ত্র এখানে রয়েছে । আর সেজন্যই এমন প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে । প্রাণীবিদ্যার ভাষায় এই ধরনের প্রাণীর প্রজাতির নাম ‘ স্ট্রেপট্যাক্সিডে ’ ।
এর আগে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এমন প্রজাতির দু’টি শামুকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল । এবার সরাসরি প্রধান ভূখণ্ডেই এমন ভারতের প্রজাতির শামুকের দেখা মিলল । আর সেজন্য এ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা । দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে ‘ হ্যাপলপথাইচিয়াস ’প্রজাতির প্রাণী দেখা যায় বলেই জানিয়েছেন হ্যাপলপথাইচিয়াস বিশেষজ্ঞরা । .হ্যাপলপথাইচিয়াস শায়াদ্রিএনসিসের প্রজাতিভুক্ত এই নিয়ে মোট তিনটি শামুকের সন্ধান পাওয়া গেল । অন্য দুটি ছিল জেনাস পেরোটেটিয়া প্রজাতির । ২০২১সালেই সেগুলির সন্ধান পাওয়া যায় । এবার আবার নতুন একটি শামুকের সন্ধান পাওয়া গেল ।