মাছির উপদ্রবে ভাঙছেসংসার, পালাচ্ছেন নববধূরা
কখনও শুনেছেন মাছির জ্বালায় গ্রাম ছাড়া বাড়ির মহিলারা। হ্যা! এটাই সত্যি। উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি গ্রামে মাছির উপদ্রবে বিরক্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন বাড়ির নব্যবউরা। এমনই অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটছে উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, হরদোই জেলার বাধাইয়া পুরওয়া, কুঁইয়া, পাট্টি, দাহি, সালেমপুর, ফতেহপুর, ঝাল পুরওয়া, নয়া গাঁও, দেওরিয়া এবং একঘড়া এই গ্রামগুলিতে মাছির অত্যাধিক উপদ্রব। যার জেরে এই গ্রামে কোনও পাত্রীপক্ষ সম্বন্ধ করতে চাইছে না। ফলে পছন্দ মতো পাত্রী জোটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই গ্রামগুলির পুরুষদের। খবর অনুসারে, শুধুমাত্র বাধাইয়া পুরওয়া গ্রাম থেকেই এক বছরে ৬০ জন নব্যবউ মাছির ভনভনাতিতে বিরক্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে
পালিয়েছেন। স্বামীরা তাদের ফিরিয়ে ফিরিয়ে গেলে উল্টে স্বামীদেরই স্ত্রীরা পরামর্শ দেন, একসঙ্গে সংসার করতে চাইলে ওই গ্রাম ছেড়ে আসতে হবে। ফলে মহাসমস্যায় পড়েছেন তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মাছির উপদ্রবের সূত্রপাত একটি মুরগির খামারকে কেন্দ্র করে। ২০১৪ সালে হরদোই জেলার ওই গ্রামগুলির একটিতে মুরগির খামার খোলা হয়েছিল। তার পর থেকেই বাকি গ্রামগুলিতে মাছির
উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে বলে দাবি ওই গ্রামবাসীর। গত ৩ বছরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে হয়েছে। মাছির উপদ্রবে ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বিয়ে, সম্বন্ধ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বছরে এখনও পর্যন্ত কোনও বিয়েই হয়নি গ্রামগুলি থেকে। বাধাইয়ার পুরওয়ার গ্রামপ্রধান বলেন, ‘মাছির উপদ্রব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পারস্পরিক সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ছে। গত বছরে কোনও রকমে গ্রামের ৩টি ছেলে এবং ৪টি মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু মাছির
উপদ্রবে নববধূরা সংসার ছেড়ে পালিয়েছেন।’