মাছের ঘাটতি কমাতে অ্যাকুয়া পার্ক: মৎস্যমন্ত্রী

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যে প্রতি বছর মাথাপিছু ২৭.৮৩ কেজি মাছ খাওয়া হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরাতে মাছের চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে রাজ্যে মাছের চাহিদা হলো বছরে ১,১৭,২৮৭.৪৬ মেট্রিকটন। মাছের উৎপাদন হচ্ছে বছরে ৮৫,৮০৫.৬৮ মেট্রিকটন অর্থাৎ ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩১,৪৮১.৭৮ মেট্রিকটন। এই ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে অন্যান্য রাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাছ আমদানি করে। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় রেফারেন্স পিরিয়ডে বিধায়ক স্বপ্না দাস পালের জরুরি জনস্বার্থে আনা একটি নোটিশের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।মৎস্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অব্যবহৃত পড়ে থাকা জলাশয়গুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মৎস্য দপ্তর সারা রাজ্যে ৫৮৯.৬৬ হেক্টর এলাকায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা জলাশয় সংস্কার করে এগুলিতে মাছ চাষ শুরু করেছে। তিনি বলেন, মৎস্য পালন লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য, পুষ্টি, কর্মসংস্থান এবং আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রাণীজ প্রোটিনের একটি সুলভ উৎস হওয়ায় মাছ ক্ষুধা ও পুষ্টির ঘাটতি দূর করার জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। মৎস্য চাষের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনার অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মৎস্যক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশের জন্য এখানে মনোনিবেশ এবং অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ত্রিপুরায় মাছ খান এমন লোকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যেখানে জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষ মাছ খেয়ে থাকেন। মৎস্যমন্ত্রী জানান, মাছের ঘাটতি পূরণ করার জন্য মৎস্য দপ্তর বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনায় পুকুর, জলাশয় ইত্যাদির নিয়মিত সংস্কার, মাটি পরীক্ষা, মাছচাষিদের বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। কৃষকদের মতো মৎস্য চাষিদের মৎস্য সহায়তা যোজনায় বছরে ছয় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। গত বছর তিন হাজার মাছচাষিকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত বছর ডম্বুর জলাশয়ে এক হাজার দুশোর মতো কেইজ কালচার করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ঊনকোটি জেলার বিসি নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচশ হেক্টর এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকুয়া পার্ক করা হবে। এরজন্য একশকোটি টাকার একটি প্রকল্প কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। মৎস্য মন্ত্রক সম্প্রতি এর মধ্য থেকে তেতাল্লিশ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এই অ্যাকুয়া উ পার্ক থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন মাছ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Dainik Digital

Recent Posts

খুশির ঈদ উদযাপন

অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…

16 hours ago

সাব ইনস্পেক্টর অব এক্সাইজ নিয়োগে, সরকারের নিয়োগনীতি কার্যকর করছে না টিপিএসসি, ক্ষুব্ধ বেকাররা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে নতুন নিয়োগনীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারের…

16 hours ago

কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও,হাসপাতালে জনঔষধির সস্তা ওষুধ সংকটে রোগীরা বঞ্চিত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সস্তায় ভালো গুণমানসম্পন্ন জনঔষধি তথা জেনারিক মেডিসিন…

16 hours ago

শান্তিরবাজারে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন জগন্নাথ পাড়া!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শান্তিরবাজারে সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো জগন্নাথপাড়া প্লে সেন্টার টিম। রবিবার বাইখোড়া ইংলিশ…

16 hours ago

বামফ্রন্টের রেখে যাওয়া ১২,৯০৩ কোটি সহ,রাজ্যে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ ২১,৮৭৮ কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৮৭৮ কোটি…

17 hours ago

ক্রাইম ব্রাঞ্চের শক্তিবৃদ্ধিতে গুচ্ছ পদক্ষেপ : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের…

18 hours ago