মাঝে মধ্যে স্বপ্নে এমন গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া যায় । ইজরায়েলে সেই স্বপ্নই বাস্তবের মাটিতে ফলেছে । মাটি খুঁড়ে থরে থরে উঠে এসেছে সোনার মোহর ! যার বর্তমান বাজারদর শুনলে রাজা উজিরাও চমকে যাবেন । সব কটি মোহর একত্রিত করে দেখা গেছে , ওজন সাকুল্যে ১ কিলো ! মাটি খুঁড়তেই মিলেছে শয়ে শয়ে স্বর্ণমুদ্রা । হ্যাঁ , গোল্ড কয়েন । আক্ষরিক অর্থেই যখের ধন । নৃতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন , স্বর্ণমুদ্রাগুলি কমপক্ষে ১১০০ বছরের প্রাচীন । সে সময় এই মুদ্রার নাম ছিল স্বর্ণদিনার ।। অর্থাৎ ইজরায়েলের ইসলামিক যুগের আব্বাসিদের আমলের । এর চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হল , নৃতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের প্রত্ন খননের সূত্রে নয় , এই গুপ্তধন মাটি খুঁড়ে পেয়েছেন এ দেশের একদল পড়ুয়া , যারা বয়সে কিশোর – কিশোরী । তবে এরা সকলেই নৃতত্ত্ব পাঠ্যক্রমের ছাত্রছাত্রী ।
ওই এলাকায় তাদের ‘ প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ’ চলছিল । অনেকটা কিশোর অমনিবাসে রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজে যেমনটা ঘটে , তাদের সঙ্গে বাস্তবে ঠিক তেমনটাই ঘটেছে । সম্প্রতি মধ্য ইজরায়েলের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে খননকার্য চালানোর সময় এই স্বর্ণমুদ্রাগুলি পেয়েছে একদল পড়ুয়া , যারা বয়েসে ‘ টিন এজার ’ । খননকাজে জড়িতদের সকলের গড় বয়স আঠারো । মাটির নিচে যত্ন করে একটি মাটির তৈরি জারে সোনার মোহরগুলি রাখা ছিল । ইজরায়েলের পুরাতত্ত্ব বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে , এগুলি আনুমানিক ১১০০ বছর আগে মাটির তলায় পুঁতে রাখা হয়েছিল । এমন সযতেন মাটি খুঁড়ে ধাতব ঘরাটি রাখা হয়েছিল যাতে স্বর্ণমুদ্রার পাত্রটি অন্যত্র সরে না যায় । খননকার্যের দায়িত্বে থাকা নাভাদ জিভ বলেছে , “ আমাদের মনে হয়েছে সহস্রাধিক বছর আগেও পাত্রটি এমন ভাবে রাখা হয়েছিল যাতে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে সেটি খনন করে সযতনে উপরে তুলে আনা যায় । ‘ এত স্বর্ণমুদ্রার আসল মালিক কে , ইজরায়েলের পুরাতত্ত্ব বিভাগ সেই তদন্ত শুরু করেছে ।
যে দলটি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছে তার দায়িত্বে থাকা ওজ কোহেন বলেছে , ‘ মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে দেখলাম পাতলা পাতার মতো কিছু একটা ভিতরে উঁকি মারছে । ভাল করে দেখেই বুঝলাম সেটি স্বর্ণমুদ্রা । মুদ্রাগুলিতে সোনার পাতের কারুকাজ দেখে মনে হচ্ছে এগুলি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময়কার মুদ্রা , যা এখন দুষ্প্রাপ্য । পুরাতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে , যারা খননকাজ চালিয়েছিল সকলেই বয়সে তরুণ । এমন মোট ৪২৫ টি সোনার মোহর পাওয়া গেছে যেগুলি আনুমানিক নবম শতাব্দীর । সবগুলি কয়েন মিলে ওজন প্রায় ২ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১ কিলো । রবার্ট কুলের কথায় , ‘ আক্ষরিক অর্থেই গুপ্তধনের সন্ধান । ” ইজরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষর মুদ্রা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল জানিয়েছেন , ৪২৫ টি স্বর্ণমুদ্রাই ২৪ ক্যারেটের ( খাঁটি সোনা ) । এগুলি প্রতিটি নবম শতাব্দীতে ইজরায়েলের আব্বাসীয় খিলাফত আমলের । আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে সেই সময় বৃহত্তর তুরস্কে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ঘোরতর যুদ্ধ চলছে । আব্বাসীয় খিলাফতের সাম্রাজ্যের সীমা তখন পূর্বে পারস্য থেকে পশ্চিমে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । সেই আমলে এই স্বর্ণমুদ্রাগুলি দিয়ে তুরস্কের যে কোনও শহরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাড়িটি কিনে ফেলা যেত । খননকার্যের ডিরেক্টর লিয়াত নাভাদ জিভ বলেন , ‘ ভাবতেই শিহরণ হচ্ছে ! আমরা এমন দুষ্প্রাপ্য সোনার মুদ্রা সামান্য মাটি খুঁড়েই আবিষ্কার করলাম ! ’
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…