মাতৃভাষার সরকারী স্বীকৃতি চায় রিয়াংরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-নিজেদের মাতৃভাষার সরকারী স্বীকৃতি চায় রাজ্যের রিয়াংরা।সেই সাথে তাদের পরম্পরা কুলদেবী সংগ্রংমা উৎসবে সরকারী ছুটিও চায়।
রিয়াং সমাজের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানিয়ে এসেছেন।দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তারা সাত দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।
রিয়াংরা ব্রু সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।তাদের মাতৃভাষা কাউ ব্রুউ (ব্রুউনি)।এই জনজাতি সম্প্রদায় দ্ধিতীয় বৃহওম জনগোষ্ঠী।ব্রু সংগ্রমা মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে ব্রুউনি ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া হোক।দ্বিতীয় দাবি সংগ্রংমা দেবীর বাৎসরিক উৎসবের দিনে একদিবসীয় সরকারী ছুটি ঘোষণা করুক রাজ্য সরকার।ভাদ্রমাসের অমাবস্যা তিথিতে এই ধর্মীয় উৎসব পালন করে ব্রু জনজাতিরা।তারা চায় সরকার যেন এই ধর্মীয় উৎসবকে মর্যাদা দেয়। ইতিমধ্যে এডিসি প্রশাসনের তরফে এই দিনটিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। তৃতীয়ত আপা লংদ্রাই তথা শিব,পার্বতী ও গণেশ এই ত্রয়ী দেবদেবী মন্দির যেটি বীরচন্দ্রমনুতে বনভূমির জায়গায় অবস্থিত সেই জায়গাটি ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে পাট্টা দেওয়া হোক।মন্দিরের জায়গায় মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হোক, সংগ্রমা প্রতিনিধিরা দাবি সনদে উল্লেখ করেছে।তারা এও উল্লেখ করেছে ১৯৯৬ সালে গড়ে তোলা এই মন্দিরের পাশে আরও পরে স্থাপিত হয় বুদ্ধ মন্দির ও মসজিদ।সেখানে ইতোমধ্যে তাদেরকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। রাজ্যের ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রিয়াং জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে গঠিত পিটিজি দপ্তরে কোনও রিয়াং কর্মী নেই।সেখানে রিয়াং সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে নিয়োগের দাবি করেছে ব্রু প্রতিনিধিরা।দরিদ্র রিয়াং জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবাসিত বিদ্যালয় স্থাপন এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য মার্কেট স্টল বা শেড স্থাপনের দাবিও জানায়।এছাড়া ভ্রাম্যমান পশু চিকিৎসালয় চালু করার দাবিও জানিয়েছে ব্রু প্রতিনিধিরা।