মাধ্যমিক ও দ্বাদশ,বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয় : প্রধান।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে বছরে দুবার হবে বোর্ডের পরীক্ষা।তবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষায় বছরে দুবার বসাটা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।পিটিআই’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ডামি স্কুলের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন।কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনার সময় উপস্থিত।বোর্ডের পরীক্ষায় বসা নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান,শুধুমাত্র একবারই সুযোগ পাওয়ার ভয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অহেতুক একটা চাপ সৃষ্টি হয়।

সেটা হ্রাস করার লক্ষ্যেই এই বিকল্প চালু করা হচ্ছে।ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বছরে দুবার ইঞ্জিনীয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষা জেইই-এর মতোই বসার বিকল্প থাকবে।এতে শিক্ষার্থীরা সেরা ফলাফল বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক হবে।এতে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। ছাত্রছাত্রীরা প্রায়ই মানসিক চাপে ভুগে এই ভেবে যে তারা একটি বছর হারিয়েছে, তাদের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে অথবা তারা আরও ভালো রেজাল্ট করতে পারতো।একটিমাত্র সুযোগের ভয় অনেক সময় তাদের খারাপ ফলাফলের জন্য দায়ী থাকে।তাই এই বিকল্প চালু করা হচ্ছে। তবে যদি কোনও শিক্ষার্থী মনে করে যে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রথম পরীক্ষাটির জন্য এবং পরীক্ষার প্রথম সেটের ফলাফল নিয়ে সে সন্তুষ্ট থাকে তবে সে চাইলে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও চলবে।কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথা,আগষ্ট মাসে শিক্ষামন্ত্রক কর্তৃক ঘোষিত নয়া শিক্ষা পাঠ্যক্রম কাঠামো (এসিএফ) অনুসারে শিক্ষার্থীদের ভালো পারফর্ম করার পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ রয়েছে।পাশাপাশি সেরা স্কোরটি বেছে নেওয়ার লক্ষ্যে বছরে দুবার বোর্ডের পরীক্ষা হবে। ধর্মেন্দ্র প্রধান, যিনি দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রীও— এ কথা বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এটির প্রশংসা করেছে এবং এই নয়া ধারণায় খুশি ব্যক্ত করেছে। ২০২৪ সাল থেকেই বছরে দুবার বোর্ডের পরীক্ষা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় -সরকার। যে কোনও ধরনের চাপমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা করানোটা সবার সম্মিলিত দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।এ বছর রাজস্থানের কোটায় রেকর্ড সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনও প্রাণ হারানো উচিত নয়… তারা আমাদের সন্তান। শিক্ষার্থীদের চাপমুক্ত কিংবা ভয়মুক্ত করাটা এখন সময়ের চাহিদা।সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে এ বছর কোটায় ২৩ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছে যা দেশের কোচিং হাবের জন্য সর্বোচ্চ। গত বছর এই সংখ্যা ছিলো ১৫। প্রসঙ্গত, ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে ভর্তি হতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম (জেইই) এবং মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নিট এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে প্রতি বছর দুই লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রাজস্থানের কোটায় যায়।শিক্ষার্থীদের যেন প্রাইভেট কোচিংয়ের প্রয়োজন না “পড়ে সেলক্ষ্যেও কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

উচ্চশিক্ষার গতিভঙ্গ!!

গত জুলাইয়ে,তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম তথা সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে, লোকসভায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয়…

38 mins ago

গুলিবিদ্ধ অভিনেতা গোবিন্দা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গুলিবিদ্ধ অভিনেতা তথা শিবসেনা নেতা গোবিন্দা। জানা গিয়েছে ভুলবশতই তাঁর নিজের বন্দুক থেকে…

54 mins ago

রাজধানীতে সিপিএমের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ও দপ্তরের পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে।এই কারণে,রাজ্যে ৪০ শতাংশ গ্রাহকের…

60 mins ago

ভোক্তাদের পকেট কেটে চিনি, সুজি, ময়দা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিনামূল্যে চিনি, সুজি,ময়দা দেওয়ার নামে সস্তা রাজনীতি করতে গিয়ে লেজেগোবরে হয়েছে বিজেপি…

2 hours ago

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হার্টের ক্ষতি হয়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডায়াবেটিসের রোগী এখন প্রায় ঘরে ঘরেই। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ…

2 hours ago

গয়নার ল্যাবে তৈরি হলো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম রুবি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…

1 day ago