অনলাইন প্রতিনিধি :-কনসোলিডেটিং অ্যান্ড সাস্টেনিং হিউম্যান রাইটস কালচার ইন টু দ্য ফিউচার’- এই ভাবনাকে সামনে রেখে রবিবার পালিত হলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
এ উপলক্ষে ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস কমিশনের উদ্যোগে আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এদিন মূল অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু। মানবাধিকার দিবসের এই অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপাল বলেন, মানুষকে তার অধিকার নিয়ে আগে সচেতন করতে হবে।আর তবেই না মানুষ তার অধিকার সম্পর্কে অবগত হবে।আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপাল বলেন, সাধারণ অংশের মানুষজন বিশেষ করে গ্রাম এবং নগর এলাকার মানুষজনকেই তাদের অধিকারের সম্বন্ধে সচেতন করতে হবে সবার আগে।সচেতন করে তুলতে হবে ছাত্র সমাজকেও।তার ভাষায়,কোথায় পানীয় জলের সুবিধা থাকবে, কিংবা কোথায় কি ধরনের সুবিধা থাকা উচিত, এসব সম্পর্কে জানতে চাওয়া কিংবা সুবিধা চাওয়াও আপনার অধিকারের মধ্যে পড়ে।তিনি বলেন,আমাদের সংবিধান নাগরিকদের একাধিক অধিকার দিয়েছে।আদালতের অধীনে বিভিন্ন আইনি সংস্থা এই অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে।এরপরও বহু ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সব অংশের মানুষকে বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে জানান, রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু।এদিন ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন রাজ্যপাল।তিনি বলেন,কমিশন গত ৭ বছরে বহু মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। কমিশন রাজ্যে মানবাধিকার রক্ষায় আরও ভালোভাবে কাজ করবে বলেই আশা ব্যক্ত করেন
তিনি আরও বলেন,এতে কমিশনের কাজের প্রতি আস্থা বাড়বে রাজ্যবাসীর।অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বপন চন্দ্র দাস বলেন,মানবাধিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।তিনি বলেন,এই দেশ হচ্ছে শান্তির দেশ।এই দেশ হচ্ছে অগ্রগতির দেশ,সম্প্রতির দেশ ও ঐক্যের দেশ। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই হচ্ছে ভারতের ভিত্তি ভূমি। যুগে যুগে ভারত গোটা বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচার করেছে। মানব অধিকার রক্ষায় জাতীয় মানব অধিকার কমিশন ও রাজ্য মানব অধিকার কমিশন কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে আইনের জটিলতার নানা বিষয় নিয়েও এদিন বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, সংবিধান প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে।ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের সব অংশের নাগরিকদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে পারলেই মানবাধিকার রক্ষা করাও সম্ভব হয়ে উঠবে।ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গঙ্গাপ্রসাদ প্রসেইনও এদিন বলেন,মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সমস্ত নাগরিকদের সমান অধিকার রয়েছে।বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদেরকেই মানবাধিকার সম্পর্কে বেশি করে সচেতন করার প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্না দেববর্মা।এর আগে স্বাগত ভাষণ রাখেন ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের সচিব রতন বিশ্বাস।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এদিন অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল ডিসকাশন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…