মানব-ট্রায়াল সফল, আসছে চিকুনগুনিয়ার টিকা, দাবি ল্যানসেটে।

 মানব-ট্রায়াল সফল, আসছে চিকুনগুনিয়ার টিকা, দাবি ল্যানসেটে।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || মশাবাহিত ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, জাপানি এনসেফেলাইটিসের মতোই একটি কালান্তক ভাইরাস চিকুনগুনিয়া।এখনও এ ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। তবে সুখবর শোনালেন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল ল্যানসেটের বিজ্ঞানীরা। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা যায় না, এই ভাইরাসের বিপজ্জনক দিক এটাই। ফলে দেরিতে যখন চিকিৎসা শুরু হয়, ভাইরাস ততদিনে শরীরকে অনেকটাই গ্রাস করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব তুলনায় বেশি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয় বহু মানুষ। বিশ্বের সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য মেডিক্যাল জার্নাল বলে খ্যাত ‘দ্য ল্যানসেট’-এর বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ে মানব দেহের ট্রায়ালে ‘অত্যন্ত নিরাপদ ও আশাব্যঞ্জক’ বলে প্রমাণিত হয়েছে।ওই জার্নালে বলা হয়েছে,মানুষের শরীরে চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন খুব ভাল কাজ করেছে।২৮ জনের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছিল।দেখা গেছে ভ্যাকসিন ৯৮.৯ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এই সাফল্য এসেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সব ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে।বিজ্ঞানীরা বলেছেন,এটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশা-বাহিত অসুস্থতার বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বিস্তারের একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে চলেছে।গত ১২ জুন দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা অনুমোদিত হলে তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর শরীরে বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে অন্যতম পেশি ও গাঁটে অসহ্য যন্ত্রণা, সেই সঙ্গে তীব্র জ্বর এবং ত্বকে ফুসকুড়ির মতো র‍্যাশ জার্মানির টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পিটার ক্রেমনার বলেছেন, ‘চিকুনগুনিয়া মূলত গ্ৰীষ্ণমণ্ডলীয় দেশের রোগ। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এটি প্রাণঘাতী। তবে রোগটি সুখকর নয়। আক্রান্ত রোগী দুই সপ্তাহ ধরে অসুস্থ থাকতে পারেন। এছাড়াও, গুরুতর ক্ষেত্রে খুব বেদনাদায়ক আথ্রাইটিসে শিকার হতে পারে রোগী।সে ক্ষেত্রে রোগটি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়।’ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আফ্রিকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আমেরিকার উপ-ক্রান্ত অঞ্চলে এই রোগ বিদ্যমান।এখনও পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার কোনও চিকিৎসা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। ল্যানসেটে উল্লিখিত টিকাটি লাইভ-অ্যাটেনুয়েটে ভ্যাকসিন, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ভিএলএ১৫৫৩’। এটি চিকুনগুনিয়ার লা রিইউনিয়ন’ স্ট্রেনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা পূর্ব-মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার জিনোটাইপ। গবেষণা পত্র অনুসারে, “আবিষ্কৃত এই ৯৯ টিকা শতাংশ (৩৬৩/২৬৬) অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.