মানিক-বিপ্লবের বর্শাফলায় সিপিএম!!

 মানিক-বিপ্লবের বর্শাফলায় সিপিএম!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এখন তারা জোটবদ্ধ হয়েছে। এক সময় তারা পরস্পরকে প্রাণঘাতী আক্রমণ করেছে। তাতে অনেকের প্রাণ গেছে। অনেকে জঘন্যতম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের রক্ত মাখা হাত এখন একসাথে হয়েছে। শনিবার আগরতলায় মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে বিশিষ্টজনদের সাথে মত বিনিময় সভা তথা ‘মন্থন’ কার্যক্রমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। কংগ্রেস- সিপিএমের জোটকে তুমুল আক্রমণ করে তিনি বলেন, এখন তাদের কংগ্রেস-সিপিএম জোট বলতেও লজ্জাবোধ হচ্ছে। এখন তারা ইন্ডি জোট নামে মাঠে নেমেছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কি নিয়ে তারা মানুষের সামনে যাবেন? ৩৫ বছরের বাম জমানার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন অদ্ভুত দর্শন নিয়ে কমিউনিস্টরা কাজ করে গেছেন। সত্তরের দশক থেকেই তারা তা মানতে পারতেন না। মানুষ সিপিএমের বিকল্প চেয়েছিল কিন্তু তা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা বলা নিয়ে কমিউনিস্টদের মুন্সিয়ানা রয়েছে। বারবার সুন্দরভাবে তারা মিথ্যা কথা বলতে পারে। এতে অনেক সাধারণ মানুষই প্রভাবিত হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে রাজ্যে এমন • পরিস্থিতি তৈরি হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন তাও তার ভাবনায় আসেনি। গোটা বিষয়টাই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে। তিনিই রাজ্যে পরিস্থিত পাল্টে দিয়েছেন তার কাজের মাধ্যমে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা নিতে আহ্বান রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।
এদিন পশ্চিম লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের কমিউনিস্টদের বি ক্যাটাগরির কমিউনিস্ট বলে উল্লেখ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালার কমিউনিস্টদের এক নম্বর ক্যাটাগরিতে রেখেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনে রাজ্যে কয়জন পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন। তিনি বলেন, তখন কেন্দ্রে উপা সরকারের সমর্থনে ছিল বামেরা। তারপরও তারা পদ্মশ্রী এনে দিতে পারেনি। নিজেদের লোকেদেরও তারা পদ্মশ্রী সম্মান এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এনিয়ে তিনি নাম না করে চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকেও দায়ী করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, দলীয় ভিত্তিতে কিংবা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারা বিশিষ্টজনদের ডাকেন না। ব্যক্তিগত ক্ষমতা এবং মেধার নিরিখে তারা কাউকে ডাকেন। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত অগ্নি কুমার আচার্য্যে কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বামেরাও তাকে ডাকতো। তিনিও তাকে ডেকেছেন। বামেরা এমনটা করতেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ দিনের মতবিনিময় সভায় প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যসহ অন্যরা ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.