মার্কিন যুবকের কামড়ে আহত পুলিশ কুকুর ভর্তি হাসপাতালে।
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তা বলে কুকুরে কামড়ানো কি মানুষের শোভা পায়! বাংলা মাধ্যমের স্কুলে মাধ্যমিক স্তরের এটি একটি পরিচিত ভাব সম্প্রসারণের প্রশ্ন। এই চরণের ভাবার্থ, মানুষ প্রাণীশ্রেষ্ঠ, মনুষ্যেতর কোনও প্রাণী তাকে আঘাত করতেই পারে, কিন্তু শ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসাবে সভ্য মানুষের পাল্টা আঘাত শোভনীয় নয়। কিন্তু ‘ এখানে উলটপুরাণ। তাও আবার দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ আমেরিকার বুকে।ডেলওয়্যারের উইলমিংটনের বাসিন্দা বছর সাতচল্লিশের জামাল উইং (ছব) গ্রেপ্তারি এড়াতে পুলিশের কুকুরকে এমন কামড়ে দিয়েছে যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আহত কুকুরের নাম ‘মাকো’। ডেলওয়্যার পুলিশ সূত্রের খবর, গত রবিবার রাস্তায় রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিল ডেলওয়্যার স্টেট পুলিশের একটি দল। তখনই তাদের চোখে পড়ে, ফিলাডেলফিয়া পাইকের কাছে রোলিং রোডে একটি কালো রঙের গাড়ি গতিসীমা লঙ্ঘন করে তীব্র গতিতে ছুটছে।এরপরেই একটি পার্কিং লটের কাছে গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য চালককে নির্দেশ দেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। সেই নির্দেশ মতো চালক অর্থাৎ জামাল গাড়ি দাঁড় করায় ঠিকই, কিন্তু তারপর গাড়ি ফেলেই পালাতে শুরু করে সে। পুলিশকর্মীরা তাকে ফিরে আসার নির্দেশ দিলেও সে কর্ণপাত না করে ছুটতে থাকে। অনন্যোপায় হয়ে পুলিশ যুবককে ধরতে মাকোকে ‘নির্দেশ দেয়। কর্তার নির্দেশ পেয়েই অনুগত
মাকো জামালকে ধাওয়া করে।মাকো কাছে আসতেই জামাল তাকে পাল্টা আঘাত করে। চোখের নিচে বসিয়ে দেয় মোক্ষম কামড়। তারপর উপর্যুপরি কামড়! বেশ কিছুক্ষণ ধরে মাকোর সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির পর হার মানে জামাল।তাকে হাতকড়া
পরিয়ে গাড়িতে তোলা হয়।তবে গ্রেফতারির সময় তার শরীরেও চোট লাগার ফলে প্রাথমিকভাবে জামালকে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে ফের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় তার। আহত হন দুই পুলিশকর্মীও।প্রাথমিক চিকিৎসার পর জামালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মাকো এবং আহত দুই পুলিশকর্মীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জামালের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, পুলিশের গায়ে হাত তোলা, খুনের চেষ্টা, পশু নির্যাতন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩৪,২০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিন দেন।