মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স খেতাব জয়ী ত্রিপুরার মেয়ে স্নিগ্ধা সেন।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি: ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এই পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছুই হয় না। সমস্ত বাধাকে হার মানিয়ে নিজের স্বপ্নকে প্রাধান্য দিয়ে আজ মিসেস ইন্ডিয়ার খেতাব জয় করল ত্রিপুরার মেয়ে স্নিগ্ধা সেন। সম্প্রতি নতুন দিল্লিতে আয়োজিত সর্বভারতীয় ‘মিস এন্ড মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় “মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০২২- ২৩” খেতাবে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি “মিসেস বেস্ট র র্যাম্প ওয়াক” এবং “মিসেস আইকনিক আই” দুটো খেতাবও জয় করেছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩-এ এভিক এন্টারটেইনমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় নতুন দিল্লির টিভলি রিসোর্ট-এ। অর্গানাইজার হিসাবে ছিলেন বিহান কাশ্যপ।
বিভিন্ন রাউন্ডে এ প্রতিযোগিতা হয়। প্রথম রাউন্ডে সারা দেশ থেকে ৪০ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিলেন ২৫ জন। তৃতীয় এবং ফাইনাল রাউন্ডে ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে স্নিগ্ধা সেন প্রথম স্থান অধিকার করেন ও “মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ২০২২-২৩” এর খেতাব ছিনিয়ে আনেন।
এর আগে ২০১৭ তে স্নিগ্ধা ‘মিসেস ত্রিপুরা’, ২০১৮ তে মিসেস নর্থইস্ট রানার আপ ও ২০২১ এ ‘ফেস অব দ্য ইয়ার’ খেতাব জিতেছিলেন তিনি। বর্তমানে এইচ ডি এফসি- লাইফ এর সিনিয়র ম্যানেজার হিসাবে কর্মরতা। স্নিগ্ধার স্বামী ভাস্বর মজুমদার একজন শিক্ষক ও কন্যা সৌহার্দি অক্সিলিয়াম গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। স্নিগ্ধার জন্ম বিলোনিয়ার মুহুরীপুরে। পিতা শিক্ষক পিন্টু কুমার সেন ও মা গীতা মজুমদার। ভাই অভিজিৎ সেন ।
বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সে। স্নিগ্ধার পড়াশোনা প্রথমে মুহুরীপুর এইচ এস স্কুল, পরে বিলোনিয়া কলেজ ও এরপর ইগনো থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্নিগ্ধা।
শৈশবে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত সাধনা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী জীবনে স্নিগ্ধা আবৃত্তি, গান সহ বিভিন্ন পারফর্মিং আর্ট ইত্যাদিতে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করতেন।
শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নিজের সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন স্নিগ্ধা সেন। তিনি বলেন, তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছে। কিন্তু কখনো হার মানেনি সে। নিজের চেষ্টা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজ সে মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স।